সকালটা ভালো ভাবে শুরু হলে সারাটা দিন ভালো যায়। আপনি যদি দৈনিক সকালে ৫ মিনিটের একটি রুটিন ফলো করতে পারেন তাহলে আপনার সকালটা ভালো ভাবে শুরু করতে পারবেন এবং আপনার সারাটা দিনও ভালো কাটবে।
৫ মিনিটের এই রুটিন যদি আপনি সুন্দর করে সাজাতে পারেন ও সেটা অনুসরন করতে পারেন তাহলে আপনার ভালো অভ্যাসগুলো চর্চার মাধ্যমে আপনি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন সহজে। সুতরাং সকালে ৫ মিনিট সময় নিন এবং এই সহজ ৫টি উপায় অনুসরণ করুন যা আপনার চাপ কমাতে, মন ভালো করতে ও অনেক বেশি এনার্জি অর্জন করতে সহায়তা করবে।
# আপনার বিছানাটি গোছান
ঘুম ভাঙার পরে কিছুক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি দিন, এতে আপনার শরীরের মাংস পেশী গুলো রিলাক্স হবে। তারপর আপনার বিছানাটি গুছিয়ে ফেলুন। এতে ঘর অগোছালো আছে কিনা এই বিষয়ে আপনাকে সারাদিনে আর চিন্তা করতে হবে না এবং আপনার বেড রুমে শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা আপনার মানসিক শান্তির জন্য প্রয়োজন।
# পানি পান করুন
খালি পেটে ১ গ্লাস পানি পান করুন। এতে আপনার দেহের পানির চাহিদাই পূরণ হবেনা, আপনি অনেক সজাগ হবেন ও আপনার এনার্জি বৃদ্ধি পাবে। সকাল সকাল ১ গ্লাস পানি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যেতে সহায়তা করবে।
# কোন বিষয়গুলোর প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ তার একটি তালিকা তৈরি করুন
কৃতজ্ঞতা আপনার জীবনে সুখ নিয়ে আসবে। আপনি ইতিবাচক চিন্তা করতে পারবেন, আপনার আত্মসম্মান বোধ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি পরশ্রীকাতরতা থেকে মুক্ত হতে পারবেন যার ফলে আপনি সুখি অনুভব করবেন।
# মেডিটেশন করুন
একটি চেয়ারে বা মেঝেতে আরাম করে বসুন। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস আদান প্রদান করুন। আপনার মাথায় নানা রকমের চিন্তা আসবে সেদিকে নজর না দিয়ে আপনার নিঃশ্বাসের দিকে খেয়াল করুন। এতে আপনার স্ট্রেস কমবে।
# টাকার হিসাব রাখুন
আপনার যদি প্রচুর টাকা থাকে তাও আপনার টাকার হিসাব রাখা প্রয়োজন। এইজন্য আপনি আপনার টাকা কোথায় কীভাবে ব্যয় করছেন তার হিসাব রাখুন এবং দিনের শুরুতেই নির্ধারণ করে নিন আপনার সারা দিনের খরচ।
# কিছু হালকা খাবার প্যাকেট করে নিন
ঘর থেকে বের হওয়ার আগে কিছু হালকা ও পুষ্টিকর খাবার যেমন- ফল, বাদাম, গাজর, সিদ্ধ ডিম ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে নিন যাতে দুপুরে ক্ষুধা লাগলে খেয়ে নিতে পারেন।
আপনি কী করতে পছন্দ করেন, কী করলে আপনি উপকৃত হবেন এবং কোন জিনিসটা আপনি নিয়মিত করতে পারবেন তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।
কোন কাজটি আগে করতে হবে, কোন কাজটি পরে করলেও চলবে তা আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার কাজের তালিকা তৈরি করুন তাহলে আপনি আস্তে আস্তে আপনার সবগুলো কাজই শেষ করতে পারবেন। ফলে আপনার জীবনটা অনেক সুন্দর ও গুছানো হবে।