দেশ বিদেশের শ্রোতাদের কাছে অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের ভিন্নধর্মী গান দিয়ে একটি অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে ব্যান্ড চিরকুট। এই ব্যান্ডটির ভোকাল হিসেবে দারুণ সাফল্য দেখিয়ে এরই মধ্যে আলোচনায় চলে এসেছেন শারমিন সুলতানা সুমী। বিশেষ করে তার গায়কি, কথা ও সুর চিরকুটকে অন্যরকম উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছে। বর্তমানে স্টেজ শো নিয়েই বেশি ব্যস্ত এ ব্যান্ড। বিশ্বের বিভিন্ন নামি দামি মঞ্চে গান গেয়ে বাংলাদেশের নামকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করছে চিরকুট। ব্যান্ডটির বর্তমান ব্যস্ততা, গান ও নানা দিক নিয়ে আজকের আলাপন-এ কথা বলেছেন শারমিন সুলতানা সুমী। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কেমন আছেন? অনেক লম্বা সফর শেষে তো দেশে ফিরলেন?
খুব ভালো আছি। কদিন আগেই ৪০দিনের সফর শেষ করে আমেরিকা থেকে ফিরলাম আমরা। এই সময়ে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে শো করেছি। আমরা যখন প্রথম শো করলাম তখন বুঝলাম এখানে ব্যান্ডের কদর কতটুকু। অনেক সময় ব্যান্ডের ভোকাল নিয়ে শো করা হয়। সলো আর্টিস্টরাও এখানে পারফরম করেন বেশি। তবে আমরা সব সময় ব্যান্ড নিয়ে পারফরম করি। সেদিক থেকে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানের শোতে আমরা সাড়াও পেয়েছি অনেক।
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
অমিতাভ রেজা ভাইয়ের ‘আয়নাবাজি’ ছবির কাজ করছি আমরা। এছাড়া রেদওয়ান রনির ‘আইসক্রিম’ এর কাজ করছি। বাকি ব্যস্ততা এখন প্র্যাকটিস ও শো নিয়ে। ৬ই নভেম্বর সংগীত সপ্তাহ উপলক্ষে আমরা শো করবো রবীন্দ্র সরোবরে। বিকেল ৪ টা ৩০ থেকে শুরু হবে শো। এছাড়া দেশের ভেতরও এখন শো নিয়ে ব্যস্ত আমরা। তবে নতুন একটি চমক ও ভালো লাগার খবরও আছে চিরকুটের।
কি সেই চমক?
২০১৬ সালের মার্চে আমেরিকার অস্টিনে হতে যাওয়া বিশ্বের অন্যতম বড় সংগীত ফ্যাস্টিভাল ‘সাউথ বাই সাউথ’-এ হাজার হাজার ব্যান্ডের মধ্যে প্রথমবারের মত পারফরম করতে যাচ্ছি আমরা। যেখানে বিভিন্ন সময়ে বাজিয়েছেন কোল্ডপ্লে, মেটালিকা, মেগাডেথ, ¯œুপ ডগ, লেডি গাগার মত শিল্পীরা। আসলে আমার মনে হয় গ্লোবাল মিউজিক এগিয়েছে অনেক দূর। আমরা কেন থেমে থাকবো। থামার কোন মানে নেই। শুরু হোক এখানেই। এমন একটি সুযোগ পেয়ে আমরা অনেক বেশি সম্মানিত বোধ করছি।
চিরকুটের শুরুটা কিভাবে হয়েছিলো?
২০০২ সালে আমরা শুরু করেছিলাম। এখন পর্যন্ত আমাদের দুটি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। পরিকল্পনা করছি তৃতীয় অ্যালবামের।
কথা-সুর ও গায়কির দিক থেকে ভিন্ন ধারার গান করে থাকে চিরকুট। এই ধারার চিন্তাটা কিভাবে এলো?
কোন কিছু আসলে চিন্তা করে শুরু হয়নি। কাজ করতে করতে এবং কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আসলে গানগুলো দাঁড়িয়েছে। তবে হ্যা, শ্রোতারা আমাদের সাদরে গ্রহণ করেছেন, এটাই বড় বিষয়।