বৃষ্টি বিঘ্নিত ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ উইকেটে হারালো শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় তিন ম্যাচের ওয়ানডের প্রথমটিতে টস জিতে আগে ব্যাটে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান। বৃষ্টির কারণে ২৬ ওভার খেলতে পারে তারা। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৬ ওভারে ১৬৩ রান। আর সেটা করতে গিয়ে তারা মাত্র ১ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে তারা। এদিন ম্যাচের শুরুই হয় বৃষ্টি দিয়ে। প্রাকৃতিক এ বাঁধার কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ পরে খেলা শুরু হয়। আর খেলা শুরু হওয়ার পর ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা পড়েন লঙ্কান পেসার সুরঙ্গা লাকমলের বাঁধা। তার বোলিং আক্রমণে শুরুতেই কোণঠাসা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪০ রান তুলতেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। খেলে ফেলে ১৪.২ ওভার। এ সময় বৃষ্টির কারণে বেশ খানিক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর ২৬ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। আর এবার দৃশ্যপট বেশ পাল্টে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ড্যারেন ব্রাভোর ৩৮ রানের পর দুর্দান্ত খেলেন আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডার। পঞ্চম উইকেটে তারা ওবারপ্রতি ৯.৪০ করে রান নিয়ে মাত্র ৬.১ ওভারে যোগ করেন ৫৮ রান। এরপর কোনো জুটিতে ওভারপ্রতি এরচেয়ে কমন রান নেয়নি। বৃষ্টির পরে ওভারপ্রতি তাদের সর্বনিম্ন রান নেয় ৯.৪০ করে। আন্দ্রে রাসেল ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে ৪১ ও অধিনায়ক হোল্ডার ৩ ছক্কা ও ২ চারে মাত্র ১৩ বলে করেন ৩৬ রান। বৃষ্টি আইনে ২৬ ওভারে ১৬৩ রানের টার্গেট সামনে নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তোলের লঙ্কান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিলকারতেœ দিলশান। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসমম্যান কুশল পেরেরা ১৬ বলে ১৪ রানে ফিরলেও দিলশান ফেরেন ৫৯ রানে। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৩২ বলে তিনি এই রান করেন। এদিন ২৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফটি করেন তিনি। ১০.২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে তারা ৮৯ রান তুলে ফেলে। কিন্তু এরপর ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারাইনের স্পিন মায়াজালে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ১৩২ থেকে ১৩৩- ১ রানরে ব্যবধানে তারা তিনটি উইকেট হারায়। ১৯তম ওভারে মিলিন্দা সিরিবর্ধনে (৭), সেহান জয়সুরিয়া (০) ও দানুস্কা গুনাথিলাকাকে ফেরান সুনীল নারাইন। ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে দলের দারুণ ব্রেওক থ্রু এনে দেন তিনি। শ্রীলঙ্কা নবম উইকেট হারায় ১৫২ রানে। যে কোনো সময় তাদের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল তাদের। কিন্তু ২৫ ওভারের পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করেন অজান্তা মেন্ডিস। তিনি শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২১ রানে অপরাজতি ছিলেন।