মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধু একটি নাম নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে পেসারদের জন্য তিনি একজন রোল মডেল। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের জনপ্রিয় এ তারকাকে মাঝে মধ্যেই বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে দেখা যায়। এরইমধ্যে সাত-আটটি পণ্যের মডেল হয়েছেন এই ২২ গজের তারকা। সেই সাথে শোবিজ। দুটি ভিন্ন অঙ্গন। কোটি ভক্তের হৃদয়ে তার স্থান। আর ক্রিকেট মাঠ এবং শোবিজের ঘনিষ্ট সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। মাঠে যেমন দর্শক তাদের সাহস জোগান, তেমনি দর্শকের অনুপ্রেরণা হিসেবেই মডেল হয়ে টিভির পর্দায় আসেন। শোবিজ অঙ্গনের বিভিন্ন বিষয় ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েই কথা বলেছেন প্রিয়.কমের ফ্রেম আউট বিভাগে।
আপনিতো বেশকিছু পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন, এই যে ক্রিকেট স্টার থেকে মডেল তকমা ঠিক কতটুকু উপভোগ করেন?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: এটা নিয়ে আসলে ভাবিনা। আমার ক্ষেত্রে এ বিষয়টা আপনি পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে দেখতে পারেন। আর মডেল হিসেবেতো কখনো চিন্তাই করি নাই। কাজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা বেছেও করি। অনেকে কাজের প্রস্তাব আসে। তারমধ্য থেকে যেগুলো ভাল লেগেছে সেগুলোই করেছি।
একদিকে শোবিজে কাজ করছেন অন্যদিকে পেশাদার ক্রিকেটার, এ দু-য়ের সমন্বয়, খেলার মাঠে বাড়তি চাপ অনুভব করেন কিনা?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: শোবিজের ব্যাপারটা আলাদা। মাঠে হাজার কাজ করলেও তার সঙ্গে আমার মানিয়ে নেওয়ার একটি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞাপনে যেমন-একটি শট দিয়ে ব্রেক। অনেক সময় লাগে। ধৈর্য্য ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অনেক কষ্ট হয়। যার যার পেশা তার কাছে সহজ। মাঠে শত কষ্ট করলেও তার হিসেব আলাদা।
আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কথা যদি বলি, তাদের দেশের ক্রিকেটাররাতো অনেক ক্ষেত্রে ফিল্ম স্টারদের থেকে বাণিজ্যিক মূল্য বেশি পায়- এক্ষেত্রে আমাদের দেশে কি অবস্থা?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: এর উত্তর আমি ঠিক ভাল দিতে পারব না। তারপরও আমাদের দেশে ক্রিকেট আসলে ওই জায়গায় পৌঁছায়নি। যেটা ইন্ডিয়াতে বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হয়। সেখান থেকে ফিল্ম স্টাররা আসে। তাদের মার্কেটিংয়ের দিকটা অনেক শক্তিশালী। আর ভারতের উপর নির্ভর করেই অনেক কিছু গড়ে উঠেছে। তাদের হিসেব আলাদা।
সামনে নতুন কোন বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে মাশরাফিকে দেখা যাবে কিনা?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: সম্প্রতি একটি কোমল পানীয়র মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আরেকটির বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।
কখনো যদি নাটক, টেলিফিল্মে কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, সেক্ষেত্রে আপনাকে ২২ গজ পেরিয়ে রূপালি পর্দায় দেখা যাবে কিনা?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: না না সে ধরনের কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। তবে এ বিষয়টা এখন এভাবে না বলাই ভাল। আপাতত এ ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে শোবিজের ভাল একটি সম্পর্ক থাকে-সেটা হোক (প্রেম কিংবা বিয়ে) বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: শোবিজের স্টার কিংবা সেলুলয়েড স্টার যেটাই বলেন, যে কোম্পানি তাদের মডেল হিসেবে নিবে তাদের লাভের জন্য। তারা মডেলদেরকে একটা সম্মানী দেয়। এটাতো আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানটির উপরে। তারা কাকে চায়? সেইভাবে সবকিছু আগায়। নির্দিষ্ট কোন পছন্দ থাকে না। যেমন একটি বিষয় ধরেন- যখন আপনি কাজ করতে থাকবেন তখন অনেকের সঙ্গে আপনার ভাল একটি সম্পর্ক হওয়া স্বাভাবিক।
সর্বশেষ আপনি কোন সিনেমাটি দেখেছেন?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: আমি এখন সিনেমা দেখি না। প্রায় দেড় দু-বছর হয়ে গেছে টিভি দেখি না।
অবসরে সময় পেলে গান শোনা হয় কি, আপনার প্রিয় শিল্পী কে?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: আমি বাসায় যতক্ষণ থাকি ছেলে-মেয়ে নিয়ে খেলাধুলা করি। ওদেরকে সময় দিই। বাকিটা সময় ক্রিকেট স্টার যেমন- ভিভ রিচার্ড এর মত তারকাদের ইউটিউবে পুরনো খেলা দেখি। বাংলাদেশে অবশ্যই জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান এ তিনজনের গান আমার বেশি পছন্দ। সেটা স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকেই।
আপনার স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখার কোন স্মৃতি মনে পরে কি?
মাশরাফি বিন মর্তুজা: যখন সপ্তম, অষ্টম কিংবা নবম শ্রেণীতে পড়েছি, তখন স্কুল পালিয়ে প্রচুর সিনেমা দেখেছি। তবে সেগুলোর নাম এখন মনে পরছে না