উদযাপনটা হতে পারতো আগের প্রস্তুতি ম্যাচেই। ফতুল্লায় গত পরশুদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে জ্বলে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় ৮১ রানে অপরাজিত থেকেই শেষ করতে হয়েছে তাকে। ফিরে আসার ইঙ্গিতটা সেদিনই দিয়েছেন। টানা ছয় ইনিংসে ছিলো না একটিও অর্ধশতক। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে দারুণভাবে ফিরলেন সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের এই অধিনায়ক। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়েকে মুশফিকরা লক্ষ্য ছুঁড়লেন ২৭৪ রানের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার শুরুতেই টসে হার মানতে হয় বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। জয়ী দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগে ব্যাট করা শুরু করে বাংলাদেশ দল। আদৌ কি পরে ব্যাট করতে চাওয়ার আক্ষেপ ছিলো মাশরাফির? যদি থেকেও থাকে, সেটা দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখে এতোক্ষণে ভুলতে বসার কথা তার। সৌম্য সরকারের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা হয়েছিলো টেস্টে তামিমের সঙ্গী ইমরুল কায়েসের। তবে মূল একাদশে জায়গা হয়নি তার। এতোদিন ধরে ওপেনিংয়ে খেলতে চাওয়া লিটন দাসই সঙ্গী হন তামিম ইকবালের। আগের দিন একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে ওপেনিং খেলার ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন লিটন। ম্যাচের দিনই সুযোগ পেলেন বটে, কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না একটুও। ছয় বল খেলে শুন্য রানেই ফিরতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে, আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে। তবে তা খুব একটা দীর্ঘ হয়নি। পানিয়াঙ্গারার বলে ব্যক্তিগত ছয় রানের মাথায় যখন আউট হলেন রিয়াদ, তখন দলীয় রান মাত্র ৩০। পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তামিমকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। ভালো একটা জুটির স্বপ্ন তখন হয়তো দেখেছিলেন কোটি সমর্থকরাও। ৭০ রানের জুটি গড়ার মধ্যে দিয়ে তা এগোচ্ছিলো ভালোভাবেই। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় সিকান্দার রাজার বলে আউট হন তিনি। চতুর্থ উইকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৬ রান করতেই তামিমের মতো সাকিবও শিকার হন রাজার। অন্যদিকে, একপ্রান্তে দলকে টেনে নিতে থাকা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১১৪ রানের জুটি গড়েন সাব্বির রহমান। এই উইকেটেই সেঞ্চুরি করেন মি: ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে ক্রেমারের হাতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন সাব্বর রহমান। ৫৮ বল খেলে তোলেন ৫৭ রান। এরপর পরপর মুশফিক ও নাসির হোসেনকে ফেরাই জিম্বাবুয়ে দল। সপ্তম উইকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আরাফাত সানি ২১ রানের জুটি গড়েন। ৫০তম ওভারে মাশরাফি সাত বলে এক বাউন্ডারি ও একটি ছয়ের মারে ১৫ রান তুলে লুক জঙ্গের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অন্যদিকে, সানি ও আল-আমিন মিলে তিন বলে আট রান তোলেন। তাউরাই মুজারাবানির করা শেষ ওভারে ১৯ রান তোলে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা ও মুজারাবানি প্রত্যেকে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন।