এক ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি আর সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট – এমন পারফরম্যান্সের দিনে বিশ্বের বড় বড় ক্রিকেট শক্তির দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর। আর জিম্বাবুয়ে তো র্যাংকিয়ের ১০ নম্বর অবস্থানে থাকা দল।
ফলে, তারা কোন ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারলো না। হারতে হল ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। বাংলাদেশের বেঁধে দেয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩৬ ওভার এক বলে মোটে ১২৮ রান করতে পারে সফরকারীরা।
আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, নয় নভেম্বর।
উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান এসে যাওয়ায় একটা দুশ্চিন্তা ছিল বাংলাদেশের। আর সেটা এক নিমিষেই দূর করে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে জোড়া আঘাত দিয়ে শুরু করেন তিনি। আট রানের ব্যবধানে তিনি ফিরিয়ে দেন চামু চিবাবা ও ক্রেইগ আরভিনকে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের সূচনাটা তখনই হয় জিম্বাবুয়ের। কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৩ রান রান অবধি যেতে যেতেই আউট হয়ে যান ছয় জন ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়ানো হয়নি সফরকারীদের। বৃথাই যায় অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরার ৪১ রানের ইনিংস।
গোড়ালীর ইনজুরিরর কারণে ব্যাটিংয়ে নামা হয়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিচমন্ড মুতুম্বামির। তার জায়গায় মেক শিফট ওপেনার হিসেবে নামা লুক জোঙ্গে অবশ্য ৩৯ রান করে ভালই পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এক সাকিব ঝড়েই সব শেষ হয়ে গেল।
১০ ওভার বল করে ক্যারিয়ার প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে পেলেন পাঁচ উইকেট; রান দিলেন ৪৭ টি। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দুটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট পান নাসির হোসেন ও ১ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা আল আমিন হোসেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের শুরুতেও ভুগেছিল। ২৮ তম ওভারে ১২৩ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান রুম্মান ১১৩ বলে যোগ করেন ১১৯ রান। সেখানেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর পেছনে অবশ্যই টেস্ট দলের অধিনায়কের অবদানটাই সবচেয়ে বড়। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন তিনি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে করেন ১০৭ রান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
তবে, সাব্বিরের অবদানকেও ভুলে গেলে চলবে না। মুশফিককে তো দারুণ সঙ্গ দিয়েছেনই; সাথে নিজে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি। ৫৮ বল খেলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন।