দূর্ভাগ্যে মোড়া সৌভাগ্য মনে হয় একেই বলে! ৪৫তম ওভারের শেষ বলে মাশরাফির সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছেন রিয়াদ। হঠাতই তাকে মাঠ ছাড়তে মানা করলেন রিজার্ভ আম্পায়ার। এরপর ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেল সিকান্দার রাজার থ্রো উইকেটে লাগার আগেই বেল ফেলে দিয়েছিলেন কিপার চাকাভা। নট আউটের সিদ্ধান্ত জানালেন তৃতীয় আম্পায়ার। ক্রিজে ফিরে আসলেন রিয়াদ! নাটকের এখানেই শেষ নয়। জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের দাবি পরবর্তীতে নিয়ম মেনে স্ট্যাম্প মাটি থেকে তুলে ফেলে আবারো রিয়াদকে রান আউট করেছিলেন তারা। কিন্তু তার আগেই অনফিল্ড আম্পায়ার রান আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়ায় ততক্ষণে বলটি ডেড হয়ে যাওয়ায় ধোপে টেকেনি তাদের দাবি, বেঁচে যান রিয়াদ। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত যেন কোনভাবেই মানতে পারছিলেন না জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। মাঠের মাঝখানে জড়ো হয়ে নিজেদের মাঝে অনেকক্ষণ ক্ষুব্ধ আলোচনা করলেন তারা। আম্পায়ার আলিম দার ও শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বার বার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন। এরপর এগিয়ে গেলেন অধিনায়ক মাশরাফিও। শেষ পর্যন্ত রাজি করানো গেল জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে। আবারো বোলিং শুরু করলো জিম্বাবুয়ে দল। শেষ হলো রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তার। এরপরেও ধারাভাষ্য কক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতে থাকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। তবে শেষ পর্যন্ত সে বেঁচে গেলেও ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে রান আউট হয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিয়াদ। তার আগে খেলেন ৪০ বলে ৫২ রানের মহাগুরূত্বপূর্ণ ইনিংস, যার বদৌলতে ৫০ ওভার শেষে ২৭৬/৯ রানে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিয়াদ বলেন, ‘আমি নিজেও বুঝিনি সিদ্ধান্তটি নিয়ে আসলে কি হয়েছে। তবে দিনশেষে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত আর আমি তার প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।