বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার গত ৯ বছরে ৯ পয়সার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমানই হবেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। এর কারণেই তার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার, এত অভিযোগ। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তবে কেন গত নয় বছরে নয় পয়সারও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কারণ তারেক রহমান কোন দুর্নীতি করেননি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির’ প্রতিবাদে যুবদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও অসুস্থ। এ অবস্থায় দেশকে নিয়ে ভাবছেন, দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবছেন। তার প্রিয় দল বিএনপিকে নিয়ে ভাবছেন। দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, নারী ও শিশুর কল্যাণ, মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবছেন। এমনকি ঢাকার যানজট নিয়ে ভাবছেন। তিনি এসব বিষয় নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন ও পড়াশোনা করছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আগামী দিনে দেশের জনগণ দায়িত্ব দিলে সে দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন। আমরা নিশ্চিত, তার এই ভাবনা আমাদের জন্য দেশের এবং দেশের জনগণের জন্য কাজে লাগবে। সরকারে উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, কত ওয়ারেন্ট জারি করবেন আপনারা। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন ইনশা আল্লাহ। মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তার দেশে ফেরা ঠেকাতে পারবেন না। তিনি বলেন, যারা মানহানি মোকদ্দমা করেছেন, যখন ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট গোটা পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল, তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? কেউ তো প্রতিবাদ করেননি। এখন তারেক রহমান একটা কিছু বললেই তার প্রতিবাদ হয়। রাজনৈতিক নিয়ম হলো কেউ সমালোচনা করলে রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমেই সমালোচনার জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান এমনই একজন মানুষ, যার মতো একজন বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যার পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর যার মা বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।