নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ৯টি মডেল কলেজ দেউলিয়া হওয়া পথে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলেও অর্থে যোগান দেন নিজস্ব তহবিল থেকে। ঘোষিত ৮ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে গিলে এসব প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে এসব কলেজের বেতন ভাতা বন্ধ হবার উপক্রম। নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও কোথাও বেতন ভাতা অনিয়মিত। স্থানীয় অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে মডেল কলেজগুলোর টিউশন ফি বেশি হওয়ায় ভর্তিতেও অনাগ্রহ শিক্ষার্থীদের। ফলে টিউশন ফি বাবদ আদায় করা অর্থ দিয়ে বেতন ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়তে বসেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মচারীরা। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের এই দুরবস্থার তথ্য তুলে ধরেন মডেল কলেজগুলোর শিক্ষক কর্মচারীরা। তারা ৯টি কলেজকে রাজস্বখাতে হস্তান্তর ও বার্ষিক আর্থিক বরাদ্দের বিধান রেখে প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সেল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, এই ৯টি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রণীত বিধি এখনও জারি করা হয়নি। তবে মডেল কলেজগুলোর জন্য প্রণীত কার্য পরিচালনা বিধিমালা-১৩ অনুযায়ী পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। কোন উপাধ্যক্ষ পদ রাখা হয়নি। অন্যদের ক্ষেত্রেও পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়নি। ৮ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হলে এ প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে তারা মন্ত্রীকে জানান। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের ৬টি বিভাগে ১১টি উচ্চ মাধ্যমিক মডেল বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাসচিব। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অর্থ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এই গভর্নিং বডির সদস্য। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাদের বিষয়গুলো শোনেন এবং তিনি ভালো একটি সমাধান দেবেন বলে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকদের মধ্যে বাংলাদেশ মডেল কলেজ শিক্ষক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল মান্নান প্রমুখ