সব মিলিয়ে ঘন্টা দেড়েক। নিখুঁত পরিকল্পনার আত্মঘাতী অপারেশন। রক্তাক্ত প্যারিস। একেবারে ঠান্ডা মাথায় একের পর এক হামলা চালাল সন্ত্রাসীরা। স্টেডিয়াম, পানশালা, রেস্তোরা, শপিং সেন্টার কিছুই রেহাই পায়নি হামলা থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ভয়াল সময় আর কখনও আসেনি প্যারিসে। যে ৮ জন সন্ত্রাসী মারা গেছে, তাদের মধ্যে ৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। বাকি এক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে।
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে প্যারিসের কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
৫টা ৪৪ মিনিটে প্যারিসের বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে ঢুকে পড়ে সশস্র সন্ত্রাসীরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে কনসার্ট হলের দখল নেয় সন্ত্রাসীরা। পনবন্দি করা হয় প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকদের। কনসার্ট হলের বাইরে তীব্র গুলির শব্দ।
৫টা ৪৫ মিনিটে প্যারিসের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে প্রবল বিস্ফোরণ। তীব্র আওয়াজে বন্ধ করে দেয়া হল ফ্রান্স-জার্মানি প্রীতি ম্যাচ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও তখন খেলা দেখতে ওই স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন।
৬টায় বাটাক্লাঁ ছাড়াও প্যারিসের আরও পাঁচটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর।
৬টা ২৯ মিনিটে কনসার্ট হলে মৃতের সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর।
৮টা ৫৩ মিনিটে শহরে ১৫০০ সেনা মোতায়েন। জরুরি অবস্থা জারি।
১০টা ৪৩ মিনিটে প্যারিসে কারফিউ জারি।
সাড়ে ১১টায় খবর ৮ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তাদের ৭ জনই মারা গেছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে।