যুদ্ধে নেমে পড়েছে হ্যাকার গোষ্ঠী অ্যানোনিমাস। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সাইবার যুদ্ধ। তারা আইএসের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বের করে ফেলেছে অনেক তথ্য। সংগ্রহ করেছে অনেক নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর। এসব ব্যক্তি আইএসের জন্য সদস্য সংগ্রহ করতো। যাদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাওয়া গেছে তাদের বেশির ভাগই আফগানিস্তান, তিউনিশিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিক। উল্লেখ্য, শুক্রবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হওয়ার পর আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হ্যাকার গোষ্ঠী অ্যানোনিমাস। লন্ডনের একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, অ্যানোনিমাস এরই মধ্যে আইএসের জন্য সদস্য সংগ্রহকারীদের একাউন্ট হ্যাক করে বের করে এনেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তারা এমন ৫৫০০ টুইট একাউন্ট হ্যাক করেছে। অ্যানোনিমাস বলেছে, তারা যেসব ব্যক্তির একাউন্ট হ্যাক করেছে তারা আইএসের উচ্চ পদস্থ এবং বসবাস করছে ইউরোপে। তবে এখনও তারা ওইসব ব্যক্তির কোন ঠিকানা প্রকাশ করে নি। পত্রিকাটি বলেছে, তারা প্রকাশিত ওইসব ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেখেছে। তারপর তারা সেই ফোন নম্বর ধরে একজনকে ফোন করে। তার কাছে জানতে চায় আইএসে যুক্ত থাকার বিষয়ে তার মন্তব্য। কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে, তা যাচাই করতে পারে নি পত্রিকাটি। অ্যানোনিমাসের কয়েকজন মুখপাত্র দাবি করেছে তারা আইএস বা আইসিস সমর্থকদের ৫৫০০ টুইট হ্যাক করেছেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন এ সংখ্যা ৯০০। ওদিকে ‘ঘোস্টসেক’ নামে হ্যাকারদের আরেকটি গ্রুপ প্যারিস হামলাকারীদের নিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক সূত্র বলেছে, তারা অসংখ্যা ডাটা হাতে পেয়েছে। মঙ্গলবার হ্যাকাররা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে তারা আইএসকে হুমকি দিয়ে বলেছে তোমাদের জানা উচিত আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব। তোমাদেরকে ছেড়ে দেব না। তোমাদের বিরুুদ্ধে ব্যাপক আকারে সাইবার হামলা হবে। যুদ্ধ ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন প্রস্তুতি নাও। উল্লেখ্য, হ্যাকিং একটি গুরুতর অপরাধ। পশ্চিমা দেশগুলো এর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ও পদক্ষেপ নিলেও এখন তারা যা করছে তা আইএস বা আইসিসের অনেক গোপন তথ্য ফাঁসে সহায়তা হবে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে তা হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়তা।