যৌন সহিংতার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করলেন ব্রাজিলের কয়েক শত নারী। তারা এ প্রতিবাদ বিক্ষোভের নাম দিয়েছেন ‘স্লাটওয়াক’ বা ‘বারাঙ্গনা পদযাত্রা’। এতে অংশগ্রহণকারীরা শরীরের উপরের অংশের কাপড় খুলে উন্মুক্ত বক্ষে নেমে পড়েন রাস্তায়। এ সময় রাস্তায় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র্যালিতে অংশ নেয়া নারীদের শরীরের উন্মুক্ত স্থানগুলোতে লেখা ছিল নানা স্লোগান। ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে তারা লাজ লজ্জা ফেলে রাজপথকে বেছে নেন। এ ইভেন্টটি আয়োজন করা হয় রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি। এর মাধ্যমে ধর্ষক, নিপীড়কদের কাছে শক্তিশালী বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তারা গর্ভপাত বিরোধী নতুন যে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে দেখছেন এ বিক্ষোভকে। যদি ওই প্রস্তাবনা আইন হিসেবে পাস হয় তাহলে যদি কোন নারী ধর্ষিত হন তাহলে তিনি গর্ভপাত করাতে পারবেন তখনই যখন তিনি তা অপরাধ হিসেবে প্রমাণ করাতে পারবেন। যদি প্রমাণ হাজির করাতে না পারেন তাহলে তিনি গর্ভপাত করাতে পারবেন না। এসব বিষয়ে নানা স্লোগান শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন অংশে লিখে রাজপতে নামেন। কেউবা এ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সাম্বা নাচেন। এদের একজন স্টেফানি রুয়াস (২৬)। তিনি বলেন, আমরা যেকোন স্থানে সহিংসতার মুখোমুখি হতে পারি। স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে পারে নারী। এটাই যেন সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, একা সফর করার জন্য ব্রাজিল একজন নারীর জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ জায়গা। যখন আমি ব্রাজিল সফর করতে এসেছি তখন আমাকে দরজার জন্য একটি বাড়তি তালা আনতে হয়েছে, যাতে যেকেউ ইচ্ছে করলেই দরজা খুলতে না পারে। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, ব্রাজিলে প্রতি দু’ঘন্টায় একজন নারীকে হত্যা করা হয়। এর ফলে এটি বিশ্বের পঞ্চম ভয়ানক স্থান নারীদের জন্য। আরেকজন নারী ইন্দারা কস্টা (১৮)। তিনি বলেন, ব্রাজিলের পুরুষরা আমাদেরকে পণ্য মনে করে। আমরা যা চাই তা হলো আমরা যা ভাল মনে করি তাই করবো। আমাদেরকে হয়রানি করা চলবে না। এ নিয়ে রিও ডি জেনিরোতে এ ধরনের বিক্ষোভ পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা হলো।