বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকার অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দিচ্ছে। রপ্তানি খাতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ জোগাতেই অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিপ বিল্ডিং, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ আমাদের অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানিতে প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছি। তার পরই কার্যকর করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশে আমরা ওষুধ রপ্তানি করছি। চামড়া, তৈরি পোশাক, ফার্নিচার, আইটিতেও ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের রপ্তানি ৩২ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলার। এভাবে সব দিক থেকে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার, আর জিএসপি সুবিধা ছাড়াই আমাদের রপ্তানি এখন ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধি ২১%, আমেরিকাতে ১৭.২৯%। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী ১৫-১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দশম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সেখানে অংশ নেবে ও নেতৃত্ব দেবে। ওষুধ, সেবা, পণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে আমরা আরও অবস্থান ভালো করবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনেক দেশ এখন হিংসা করছে, অন্য চোখে দেখছে। কারণ অনেকে ভেবেছিল, স্বাধীনতার পরে দেশটির অবস্থা ভালো থাকবে না। কিন্তু যে দেশের সঙ্গে আমরা ছিলাম, সেই পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকেই আমাদের অবস্থা ভালো।