শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য আসে। কারা ফটকে জোরদার নিরাপত্তার মধ্যে এই খবরে এক ধরনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরপর টেলিফোন করা হলে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেন, “আমরা কারাগারের পথে রয়েছি।”
সোয়া ৯টার দিকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে পৌঁছে যান।
সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফে সানী বলেন, “পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে কারাগার থেকে বলা হয়েছে। তারা বাসা থেকে বের হচ্ছেন।”
রাত ৯টায় সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা কয়েকটি গাড়িতে করে নাজিমউদ্দিন সড়কে কারা ফটকের সামনে উপস্থিত হন।
যুদ্ধাপরাধী সাবেক এই দুই মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করার পর বিকাল থেকে কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক কড়াকড়ি আনা হয়।
একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদের এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী মুজাহিদের ক্ষমার আবেদনটিতে মতামত দেওয়ার কথা সন্ধ্যার পরপরই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীর আবেদন গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হওয়ার পরদিন রায় পৌঁছে যায় কারাগারে। এরপর ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে তাদের সামনে খোলা ছিল শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
শনিবার দুপুরে দুজনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বেলা আড়াইটার দিকে বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।
তবে তাদের পরিবার তারপরও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তারা বলে, বন্দিদের সঙ্গে কথা বলার আগে একথা বিশ্বাস করেন না তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার প্রতিবিধান চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন, তবে তা গ্রহণ করা হয়নি।
অন্যদিকে মুজাহিদের পরিবার ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলাটির বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখার আবেদন জানায়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুজনই সব প্রক্রিয়া শেষে এখন এসব আবেদন অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।