আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে প্রাথমিক স্তরের ১৭টি বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করা হচ্ছে। ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে প্রাথমিক স্তরের ১৭টি বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করা হচ্ছে। ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আজ রাজধানীর আইসিটি ডিভিশনের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন অব প্রাইমারী এডুকেশন কন্টেন্ট শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় ‘ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার এনরোলমেন্টে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত। কিন্তু আমাদের শিক্ষার সাথে আনন্দযোগ খুব একটি নেই। অপরদিকে বর্তমান সরকার পিছিয়ে থাকতে চায় না, এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চায়। তাই, প্রযুক্তির সহায়তায় নব নব দৃষ্টি প্রসারণের মাধ্যমে এ ধরণের কর্মসূচী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে দেবে। শিক্ষার সাথে আনন্দযোগে বর্তমান সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।” অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণকে কখনোই বোঝা মনে করেননি, তিনি জনগণকে জনসম্পদে রূপান্তরে সবসময় অঙ্গীকারাবদ্ধ। আর জনগণকে জনসম্পদে রূপান্তরে আলোকিত শৈশবের বিকল্প নেই। আলোকিত শৈশবের অন্যতম ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি প্রযুক্তিময় আলোকিত শৈশব ও সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো কার্যকর ও আকর্ষণীয় করে সাজাতে এই কর্মসূচী গ্রহণ করেছি।” তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেছবাহ উল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেগম হোসনে আরা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আলমগীর, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র পালসহ প্রাথমকি ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ব্র্যাক এবং সেভ দ্যা সিলড্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।