অল্পসংখ্যক ভেরি ইম্পোর্টেন্ট পারসন (ভিআইপি) যাত্রী বিদেশী বিমানবন্দরে নিয়ম মানলেও দেশে এসে এ দেশের নিয়ম মানতে চান না বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। গতকাল সংসদের অষ্টম অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেলে এই সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আন্তর্জাতিক তথা জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করা হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি চলমান ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব পরিস্থিতি এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এছাড়াও সম্প্রতি রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনাসহ ফ্রান্স ও মালির সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ডিপারটিং কান্ট্রিকে সিকিউরিটি ইনসিউরও করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে শুধু বিমান নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোর যে সমস্ত উড়োজাহাজ বাংলাদেশ ত্যাগ করে সেগুলোকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত নিরাপত্তা বিষয়টি ডিপারটিং কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের উপর বর্তায়। বিমানবন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং বিভিন্ন যাত্রীগণ যে সহযোগিতা প্রদান করছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে বিদেশী এয়ারপোর্টে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চললেও কখনও কখনও অল্প সংখ্যক ভিআইপি যাত্রী এদেশের নিয়ম মানতে চান না। তাদের সঙ্গে আসা লোকজন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে ও বোর্ডিং ব্রিজ এরিয়ায় থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এদেশে পর্র্যটক তথা বিদেশী নাগরিকদের আগমন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১লা অক্টোবর থেকে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭ হাজার ৫১৭ জন পর্যটক এসেছেন। পক্ষান্তরে ২০১৪ সালে এই সময়ে এই সংখ্যা ৭৭ হাজার ৮৭০ জন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটে আমরা ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করছি। এই জন্য ক্যাটাগরি ‘এক’-এ উন্নীত করার জন্য প্রায় সকল কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। এ জন্য বিমানবন্দরের জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী বিমানবন্দর এবং উড়োজাহাজের নিরাপত্তার জন্য অতীতের মতো সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।