ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ – ক্রিকেটের বহুল আলোচিত এই কথাটাকে চাইলে চিটাগং ভাইকিংস ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচের শেষ ওভারের সাথে মিলিয়ে ফেলা যায়। সেখানে ওভারের তৃতীয় বলে ড্যারেন স্যামির ক্যাচটা আসিফ আহমেদ না ফেললে ফলাফলটা অন্যরকম হতে পারতো। আর তাই তো তামিমদের ফিল্ডিং নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি দেখা গেলো কোচ মারাভান আতাপাত্তুর মধ্যে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে চিটাগং ভাইকিংস প্রথম তিন দিনেই খেলেছে তিনটি ম্যাচ, যার দু’টিতেই হেরেছে দলটি। প্রতি ম্যাচেই দেখা গেলো ফিল্ডিং দুর্বলতা। ক্যাচ মিসের এই মহড়া ছিল মঙ্গলবারও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেও একাধিক ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেনি চিটাগংয়ের ফিল্ডাররা। শুধু ক্যাচ মিস নয়, ওভার থ্রোতেও বাড়তি রান দিতে হয়েছে দলটিকে, যার মাসুল দিতে হয়েছে ৭ উইকেটে ম্যাচ হেরে। তামিমদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য আরও বেশি অনুশীলন প্রয়োজন বলে মনে করেন আতাপাত্তু। বললেন, ‘ফিল্ডিংয়ের যে মান তা স্ট্যান্ডার্ড লেভেলে নেই। এ জন্য সবাইকে আরও বেশী অনুশীলন করতে হবে। ক্যাচ ড্রপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ক্যাচ ড্রপের কারণেই অনেক সময় ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।’ হেরে যাওয়া দুটিসহ তিন ম্যাচেই চিটাগংয়ের রান ১৭৫-এর বেশী ছিল। অথচ প্রতিপক্ষ দল দু’বারই দলটির দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করেছে। আর সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে জিতেছে ভাগ্যের জোরে, মাত্র এক রানে! তবে আতাপাত্তু মনে করছেন, টোয়েন্টি২০ ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানদের ওপরই মূল দায়িত্বটা থাকে। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি সব সময়ই ব্যাটিংনির্ভর। বোলারদের ভূমিকা এখানে খুব কমই। আমির বা আজমলের বিষয়টা ব্যতিক্রম। এই ম্যাচে আমাদের আরও অন্তত ২০ রান করা উচিত ছিল।’ তবে ব্যাটিংয়ের ওপর জোর দিলেও সাফল্য পেতে বোলিং-ব্যাটিং দুই দিকেই শক্তির ভারাসাম্য থাকতে হবে বলে মনে করেন আতাপাত্তু।