সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক সাইট ফেসবুক বাংলাদেশে গত ১৮ নভেম্বর থেকে সরকারীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই থেকেই জনসাধারনের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আলোচিত হয়। বিশেষ তরুন-তরুনীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের ফেসবুক ব্যবহারীরাও ক্ষুদ্র। এছাড়াও বিভিন্ন আ্উট সোর্স, অনলাইন এর ভেরিভাইড পেজসহ বড় বড় অনলাইন গনমাধ্যমও লেখালেখি করছে। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্স যোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৮ নভেম্বর প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তটি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এবং সংবিধানের ৩৯ ধারার পরিপন্থী।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে স্বদেশ নিউজ২৪কে বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করায় নাগরিক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি সংবিধান পরিপন্থী। তাই আমি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো খুলে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আমি উচ্চ আদালতে যাব।’
ওই আইনজীবী জানান, নোটিশের একটি কপি সরাসরি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীর হাতে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি কপি ফ্যাক্স করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকার বলছে, দেশের একটা মানুষও যতক্ষণ নিরাপদ বোধ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকবে।
অবশ্য বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতিতে প্রায় সবাই-ই এসব ব্যবহার করছে। এমনকি সরকারের ঊর্ধ্বতনদেরও এ কৌশল অবলম্বনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যারা বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাঁদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সুত্র:এনটিভি অনলাইন