যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাতে ফিরেই পর দিন বিপিএল খেলতে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তার দল সেই ম্যাচে জিতলেও ক্লান্ত শরীরে ব্যাটিং- বোলিং কোনটাই ভাল হয়নি তার। চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে কোন উইকেট পাননি আর রান করেছেন মাত্র ১। দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে দল হারে। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানের অবদান ৬ রান তবে উইকেট নেন ৩টি। তৃতীয় ম্যাচেও বল হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি। নিয়েছেন ১৬ রানে ৪টি উইকেট। নিজের প্রত্যাবর্তনকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সাকিব আল হাসান। যদিও এখনও ক্লান্ত শরীর। আছে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও। সাকিব বলেন, ‘শরীরে কোন শক্তি নাই এখনও। ১৫টা বল খেলেছি, ৩-৪টা ছয় মারার বল ছিল। মারতে পারিনি। আসলে আসার পর এখনও জেটল্যাগ কাটেনি, অসুস্থতা আছে, আমাশয় আছে, ঠাণ্ডা আছে, সবকিছু মিলিয়ে শক্তি না থাকলে কিছু করা সম্ভব নয়। এজন্যই ব্যাটিংয়ে এখনও ধুঁকতে হচ্ছে। আজকে ২৫ রান করেছি খুব ভালো ব্যাটিং না করেও। একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেবে। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ, অনুশীলনেরও সুযোগ নাই। আশা করি আজকের পর ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারবো। বোলিং তো মাশাল্লাহ ভালোই হচ্ছে।’
গতকাল টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬ রান করেছিল সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে ঢাকা ডায়নামাইটস ১০৭ রানেই গুটিয়ে যায়। ৬৯ রানের জয়ে সাকিব শিকার করেন ৪টি উইকেট। তবে ম্যাচে জয়ের জন্য টসটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর যেহেতু প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হচ্ছে, উইকেট প্রস্তুত করার অত সময়ও পাচ্ছে না কিউরেটররা। তাই দিন দিন উইকেট অনেক ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। সময় সময় যাচ্ছে, উইকেট মন্থর হচ্ছে, নিচু হচ্ছে। তাই আমার কাছে মনে হয় টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আজকে।’ এ ছাড়া দলের প্রথম জয়ে ৬১ রানের অবদান রাখা পাকিস্তানি ক্রিকেটার মিসবাহ-উল হককে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তবে সেটি ঢাকার বিপক্ষে রণ পরিকল্পনার জন্যই। সাকিব বলেন, ‘কম্বিনেশনের কারণেই মিসবাহ খেলেনি। ওদের তিনজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিল। আমাদের ভালো কোয়ালিটি অফ স্পিনার দরকার ছিল। আমাদের লোকাল অফ স্পিনার নেই ওরকম কোন, দুইজন অফ স্পিনার বিদেশী। এজন্য মিসবাহকে বসিয়ে অফ স্পিনার নিতে হয়েছে।’
ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে সাকিব রণ পরিকল্পনা খুব পাকাপোক্ত করেই নেমেছিলেন। ঢাকার তরুপের তাস পেস বোলার মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ পরিকল্পনা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের দলীয় পরিকল্পনাই ছিল এটা। ওদের মুস্তাফিজ আছে, শেষ দিকে ওর বোলিং করার কথা। আমাদের এজন্যই পরিকল্পনা ছিল থিসারাকে আগে পাঠানো, যেন মুস্তাফিজকে আগে বোলিংয়ে আনে ওরা। আমরা সফলই হয়েছি পরিকল্পনায়। শেষ দিকে থিসারা মুস্তাফিজকে মারতে গিয়ে আউট হয়, ওকে মারা আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। ওটা না হলে শেষ ৩ ওভারে আমরা আরও রান করতে পারতাম।’
সাকিব আল হাসান
ম্যাচ ৩ উইকেট ৭ গড় ৮.৭১
ম্যাচ ৩ রান ৩১ গড় ১৫.৫০