নগরীতে ৮৮% নারী-পুরুষ বা ত্রেুতা দ্বারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন বলে তথ্য দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একশন এইড। এ নির্যাতন বন্ধে শুধু নীতিমালা ও আইন নয়, এর সঠিক প্রয়োগ করার দাবি জানানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এ নির্যাতন বাড়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। গতকাল রাজধানীর বনানী ক্লাব মাঠে বেসরকারি সংস্থা একশন এইডের আয়োজনে ১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচিতে এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মসূচিতে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নারীর জন্য নিরাপদ নগরী নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে কথা হয়। একশন এইড তার গবেষণায় দেখায়, নগরের প্রায় ৮৮ ভাগ নারী-পুরুষ পদচারী এবং ক্রেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন। নগরের সাড়ে ৪৭ ভাগ নারী গণপরিবহন, রাস্তা কিংবা উন্মুক্ত জায়গায় চলাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, নারীর নিরাপত্তায় আমাদের দেশে আইন আছে। তবে তার দৃষ্টান্তমূলক বাস্তবায়ন হয় না বলেই নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। উইমেন ফর উইমেনের নির্বাহী সদস্য সালমা খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। তবে নারীর ঘরে-বাইরের নিরাপত্তায় এখনও অনেক পিছিয়ে আমরা। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়াতে হবে তাদের ক্ষমতায়ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান শাহনাজ হুদা বলেন, অনেক সময়ই দেখা যায় নারীর প্রতি সহিংসতাকারী অথবা নির্যাতনকারীরা রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যায়। আর নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশের কাছে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ পুলিশও তাদের হেনস্তা করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফ্ল্যাশ মোবের মাধ্যমে অতিথিদের বরণ করে নেয় একশন এইডের যুবা দল এক্টিভিস্ট সদস্যরা। পরে হ্যাপিহোম প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা নৃত্য পরিবেশনা ছাড়াও মঞ্চস্থ হয় একটি নাটক।