যশোর: বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক পর্যায়ের সম্মেলন আজ রোববার যশোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে সীমান্তের ইছামতি ও কালিন্দী নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, নষ্ট ও হারানো পিলার পুনঃস্থাপনসহ সাতটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল (শনিবার, ২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের ২৪ পরগনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
এসময় তাদের ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ সোহেল হাসান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সরোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম, ২৬ বিজিবির এডি মুনছুর আলী। এসময় সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলে ভারতের পক্ষে রয়েছেন, ভারতের ২৪ পরগনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্মিত নন্দা, জেলা পুলিশের আইপিএস তন্ময় রায় চৌধুরী সহ ৩ সদস্য।
সূত্র মতে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের যশোর, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে ইছামতি ও কালিন্দী নদী প্রবাহিত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই দুই নদীর সীমানা চিহ্নত করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটা পুনরায় চিহ্নিতকরণ, বাঁধ সংস্কার করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী পিলার স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি যৌথ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
এছাড়া নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, সীমান্তে গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ, বন্দি বিনিময়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক হস্তান্তর এবং নষ্ট বা হারানো পিলার পুনঃস্থাপন এই বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে আলোচনা হবে।
ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের যশোর, ঝিনাইদহ, ও সাতক্ষীরা জেলার সীমানা রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে ইছামতি ও কালিন্দী নদী প্রবাহিত রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই দুই নদীর সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটা পুনরায় চিহ্নিতকরণ, বাঁধ সংস্কার করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী পিলার স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি দুই দেশের যৌথ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
এ ছাড়া সীমান্তে গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ, বন্দি বিনিময়, অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক হস্তান্তর এবং নষ্ট, হারানো পিলার পুন:স্থাপন নিয়ে দুই দেশের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্টেট পর্যায়ে আলোচনা হবে।
আজ (রোববার, ২৯ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় যশোর জেলা প্রশাসকের অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছেন, যৌথসভা শেষে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করা হবে। এরপর আগামিকাল (সোমবার, ৩০ নভেম্বর) বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে সম্মেলন শেষে তারা ভারতে ফিরবেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ সোহেল হাসান জানান, এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন সীমান্ত সমস্যা নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে। এর আগে একটি বৈঠক উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কালেক্টরেট মন্মিত নন্দার ও তন্ময় রায় চৌধুরি আইপিএস পুলিশ নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সাথে সম্মেলনে বাংলাদেশের যশোর, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, বিজিবি ও পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।