এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটিং শো করেছিল তার দল। কিন্তু, ১৮৭ রান করেও মেলেনি জয়ের দেখা। পরে আরো একটি ম্যাচে বিশাল সংগ্রহের পরও জুটেছিল হার। মাঝে অবশ্য একটি জয়ের দেখা পায় তামিম ইকবালের দল চিটাগং ভাইকিংস। কিন্তু, এই একটিই জয়। পাঁচ ম্যাচে এক জয় নিয়ে বিপিএলের সেরা চারের দৌড়ে থাকার স্বপ্নটা প্রায় বিবর্ণই হয়ে উঠেছে চিটাগংয়ের। ঢাকা পর্ব শেষে চট্টগ্রামে চলছে বিপিএলের খেলা। কিন্তু ঘরের মাঠ চট্টগ্রামেও ছন্দে ফেরা হয়নি চিটাগংয়ের। ৩০ নভেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশাল বুলসের কাছে ৩১ রানে হেরে গেছে চিটাগং। টানা এই হারে এক প্রকার বিরক্তই হয়ে উঠেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হারের সাথে সাথে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও হতাশ বাংলাদেশ ওপেনার ও চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কথায় সেটাই বোঝা গেল, ‘আমি তো আর হাতে ধরে বুঝিয়ে দিতে পারব না! এই পর্যায়ে সবাইকে বুঝতে হবে যে কি করা উচিত। আমার দলে এই ব্যাপারটিই মূল ঘাটতি। সবার বোঝা উচিত তাদের কি কি করা দরকার।’ চার বিদেশিকে নিয়ে তামিমের কোনো অভিয়োগ না থাকলেও দেশিদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন তামিম ইকবাল। বিশেষ করে বোলারদের নিয়ে চরম হতাশ চিটাগং অধিনায়ক, ‘আমি অধিনায়ক হতে পারি। কিন্তু সবসময় বলতে পারি না কোথায় বল করতে হবে বা কি করতে হবে। আমি ব্যাট করার সময় তো কারও দিকে তাকিয়ে থাকি না শোনার জন্য।’ বরিশালের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা নিয়ে আক্ষেপ নেই তামিমের। আক্ষেপটা ইনিংসের মাঝে ক্যাচ মিস আর সুযোগ নষ্ট করার, ‘আমাদের শুরুটা ছিল দারুণ। বিশেষ করে প্রথম ৬ ওভারে। এরপর সেই পুরোনো গল্প। ক্যাচ মিস, রান আউট মিস এসবই আমাদের অনেক ভুগিয়েছে।’ সুযোগ পেয়েও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সেকুগে প্রসন্নকে আউট করতে না পারার হতাশার সাথে চিগুম্বুরার করা ওই ওভারটি জ্বালা দিয়েছে তামিমকে, ‘২৫ রানে মাহমুদউল্লাহর সহজ রান আউট মিস করেছি আমরা। প্রসন্ন সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছে। আর এল্টনের ওই ওভারে ওরা ম্যাচ আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে আমি মাহমুদুল্লাহ ও বরিশালের কাছ থেকে কৃতিত্ব কেড়ে নিতে চাই না।