বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ বেতারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশ বেতারের অন্তত পাঁচ কর্মচারী আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়ে গতকাল বেলা ১২টার দিকে বিএসএমএমইউ সেখানে সাইনবোর্ড লাগাতে যায়। এ সময় বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিয়ে তাদের বলেন বিনা নোটিশে এ রকম সাইনবোর্ড লাগাতে দেয়া হবে না। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বেতারের অন্তত পাঁচ কর্মচারী আহত হন। আহতরা হলেন, আব্দুল বারী, আব্দুল জলিল, মো. ইসমাইল, গাড়িচালক লতিফ ও হান্নান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর প্রক্টর প্রফেসর হাফিজুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিজড়িত স্থাপনা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে বিএসএমএমইউ। সমপ্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ তার দায়িত্ব নেবে। এ সংক্রান্ত দুটি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে বিএসএমএমইউর কর্মচারীদের বাধা দেয় বেতারের কর্মচারীরা। বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মনজেরুর রহমান জানান, বিএসএমএমইউকে বেতার কেন্দ্রটি সংরক্ষণের জন্য দেয়া হয়েছে। এটা সবাই জানে। বাংলাদেশ বেতার এখান থেকে আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তারা অবশ্যই দায়িত্ব নেবে। তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই অতর্কিতে এসে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করছিল। এটা বেতারের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি। ফলে আমাদের কর্মচারীরা বাধা দিয়েছে। এসময় বিএসএমএমইউর কর্মচারীরা বেতারের কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। তারা কর্মচারীদের আহত করার পাশাপাশি বেতার ফটকের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরও করে। ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, হঠাৎ করে কোন কিছু দখল নেয়া যায় না। সেটার একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু বেতারের কম্পাউন্ডে এসে বিএসএমএমইউর কর্মচারীরা জোর করে দুটি সাইনবোর্ড লাগায়। এ সময় বেতারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে।