পাটের বস্তার ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সার ব্যবসায়ীদের লাগাতার ধর্মঘট চলছে। গতকাল সকাল থেকে সার সংগ্রহ, সার পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) চট্টগ্রাম ইউনিটের সদস্যরা। পাটের বস্তা ব্যবহারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে বিএফএ চট্টগ্রাম ইউনিট এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। বিএফএ চট্টগ্রাম ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম খান বলেন, আমাদের যে পরিমাণ সার আমদানি কিংবা নিজেদের কারখানা থেকে সংগ্রহ করে মজুত করা হয়েছে তাতে আগামী জুন পর্যন্ত চলবে। এই সারগুলো পলিথিন ব্যাগে করে দেয়া হয়েছে। এখন পাট মন্ত্রণালয় চটের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য বলছে। তাহলে এসব সারের কী হবে? তিনি আরও বলেন, আমরা সার নিয়ে রাস্তায় নামলেই জরিমানা করা হচ্ছে। তাই আমরা পরিবহন, খালাস, বিপণন বন্ধ রেখেছি। দেশে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার থেকে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাটের বস্তা ব্যবহার না করার অভিযোগে প্রথম দিনেই সারা দেশে পরিচালিত ১৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবসায়ীদের ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।
২০১০ সালের পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অনুযায়ী, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনির মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। তা না করলে এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দণ্ড হয়ে যাবে দ্বিগুণ। পাট মন্ত্রণালয় বলছে, ছয় পণ্যের মোড়কে শতভাগ পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।