৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয়। তাই গতকাল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে চিটাগং ভাইকিংসের লড়াইটি ছিল বাঁচা-মরার। কিন্তু সেই লড়াইয়ে দৃশ্যপটের কোন পরিবর্তন হলো না। যতগুলো ম্যাচে জয় এসেছে তাতে শুধু অবদান ছিল তামিম ইকবাল ও দিলশানের। কিন্তু গতকাল এই দুই ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হওয়ার পর আর কেউ দলের দায়িত্ব নিতে পারেনি। ৯ম ম্যাচেও খুঁজে পাওয়া যায়নি টিম ভাইকিংসের কোন লড়াকু রূপ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টিম ভাইকিংসের পারফরম্যান্সকেই দুষলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘যেদিন আমি আর দিলশান ভালো করেছি সেদিন আমরা জিতেছি। তাছাড়া ও রকম কোনো জুটিও দেখিনি, টুর্নামেন্টজুড়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কিছুই দেখিনি। এটি খুবই হতাশার। আমার কাছে মনে হয় না, আমি আর দিলশান ছাড়া দলে আর কেউ সব মিলিয়ে একশ’ রানও করেছে। দু’জনের ওপর নির্ভর করে দল চলে না। এটা দলীয় খেলা। সবাইকে পারফর্ম করতে হবে, বিশেষ করে স্থানীয়দের।’
তবে গতকাল ঢাকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অনেকটা খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন আম্পয়াররা। তামিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউ’র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যথেষ্ট সন্দেহ রেখেই। ম্যাচ শেষে তাই তামিমের আউটটি উঠে আসে আলোচনাতে। কিন্তু দোষ ধরা পড়লেও নিয়ম নেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলার। তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারিং নিয়ে আমি কিচ্ছু বলবো না, সবার চোখ আছে, দেখছে তারা কি ধরনের সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। আমি কিছু বলতে গেলে জরিমানা হতে পারে, বহিষ্কারও হতে পারি। এখনও একটা ম্যাচ আছে, কিছু বলতে চাই না এটা নিয়ে। আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই দেখছেন, আমার বলে দিতে হবে না।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশীয় ক্রিকেটারও পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল স্মরণ করিয়ে তামিম বলেন, ‘ফলাফল যা বলছে, আমরা তেমন দল নই। কাগজে-কলমে অনেক শক্তিশালী। কখনো কখনো এ রকম হয় যে, একটা টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা ভাল করে না। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার যারা ছিল, ওরা চেষ্টা করেছে অবশ্যই। কিন্তু পারেনি। আপনি যতোই ক্রিস গেইল, পোলার্ড বা রাসেল- যাকেই আনেন, স্থানীয়রা পারফর্ম না করলে ওই দলের সম্ভাবনা কমে যায়। আমাদের স্থানীয়রা প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি।’ আর শেষ পর্যন্ত আরও একবার মিরপুর স্টেডিয়ামে উইকেট নিয়ে আক্ষেপটাও ঝরলো তামিমের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘বিপিএল’র প্রথম ম্যাচে যেমন উইকেট পেয়েছিলাম তা এখন নেই। সেটি থাকলে হয়তো প্রত্যোকটি ম্যাচের ফলই অন্যরকম থাকতো।’