পাকিস্তানের ক্রিকেটার দুজনই। একজন মো. হাফিজ ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য উচ্চতায়। আরেকজন মোহাম্মদ আমির তারকা বনেই ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে রীতিমতো হারিয়ে গেছেন। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) চলতি আসর তাকে দিয়েছে নতুন জীবন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে তার শিকার ১৪ উইকেট। তবে বিপিএল খেলতে আসার আগে তাকে সইতে হয়েছে নানা কটু কথা। তাকে নিয়ে সমালোচনা করতে বা কটাক্ষ করতে বাদ যায়নি নিজ দেশের ক্রিকেটাররাও। তাদের অন্যতম মোহাম্মদ হাফিজ। বিপিএলে ভাইকিংসের হয়ে প্রস্তাব পেয়েছিলেন মো. হাফিজ। কিন্তু ফিক্সিংয়ের কলঙ্কিত আমির ভাইকিংসে খেলবেন বলে তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি হাফিজ। তার দাবি, আমিরের কারণে তিনি প্রস্তাব পেয়েও খেলেননি তামিম ইকবালের দলে। যদিও ভাইকিংস হাফিজকে প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু এই সংবাদ ততক্ষণে বিশ্বসংবাদ মাধ্যম ও ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্যতম খোরক হয়ে গিয়েছিল। অপমানটা বেশ ভালভাবেই যে আমিরকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গতকাল দুই স্বদেশীর লড়াইয়ে তা ফুটে ওঠে স্পষ্ট করেই। ঢাকার হয়ে বিপিএল খেলতে আসা হাফিজকে এক রানেই সাজঘরের পথ দেখিয়ে যে উল্লাস করেছেন, আমির তা সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছে। জবাবটা তিনি বল হাতেই দিয়েছেন।
গতকাল ঢাকার হয়ে খেলতে এসে প্রথমবার মাঠে নামা হাফিজের প্রতিপক্ষ ছিলেন আমিরের। ওপেনিংয়ে না নেমে তিন নাম্বারে ব্যাট করতে নেমেও আমিরের আগুন থেকে রক্ষা হয়নি তার। ১৩ রানে ২ উইকেট হারানো ঢাকা ডায়নামাইটসকে বাঁচাতে এসে তাকে ব্যাট-বলের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়েও মুখোমুখি হতে হয়। সুযোগটা হাতছাড়া করেননি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মনস্তাত্ত্বিক খেলাটা খেলে ফেলেন আমিরের হাতে বল তুলে দিয়ে। হাফিজ উইকেটে আসার পরই আমির মোটে চারটি বল খরচ করেছেন। গতি ও বাউন্সে নড়বড়ে হয়ে চতুর্থ বলে কট বিহাইন্ড হন হাফিজ। আমিরের খ্যাপাটে উদযাপনই বলে দিচ্ছিল, লড়াইটা ক্রিকেটের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক তামিম এসে শান্ত করেন আমিরকে।