বিশ্বের সন্ত্রাস অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক বছরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮০ ভাগ। ২০১৫ সালের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স) এ কথা বলা হয়েছে। এ সূচক অনুযায়ী সবচেয়ে সন্ত্রাসের ঝুঁকির দেশ ইরাক। তারপরে রয়েছে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও সিরিয়া। এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫ নম্বরে। ১০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন ৫.৯২১। এর বাইরে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে যেখানে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১১১ জন মানুষের, ২০১৪ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬৮৫তে। এ যাবতকাল সন্ত্রাসের কারণে যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ৫টি দেশে। সেগুলো হলো ইরাক, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়া। মোট মৃত্যুর শতকরা ৭৮ ভাগেরও বেশি মরেছে এ ৫ দেশে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে থাকা দেশের সংখ্যা কম হলেও সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার দেশের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৪ সালে সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৯৩টি দেশে। ২০১৩সালে এ সংখ্যা ছিল ৮৮। বৃহস্পতিবার লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, আধুনিক সময়ে সবচেয়ে সম্পদশালী ও সহিংস সন্ত্রাসী গ্রুপহলো আইসিস বা আইএস। তাদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৪২টি গ্রুপ সমর্থন দিচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে ৩০টি গ্রুপ। এসব গ্রুপের বেশির ভাগই ফিলিপাইন থেকে মিশর পর্যন্ত বিস্তৃত। লিবিয়াতে সন্ত্রাসী হামলা করেছে আনসার আল শরিয়া, তিউনিশিয়ায় ওকবা ইবনে নাফা ব্যাটালিয়ন, মিশরের সিনাইয়ে আনসার বেইত আল মাকদিস। উজবেকিস্তানে ইসলামিক মুভমেন্ট ও ইন্দোনেশিয়ার আবু সায়াফ গ্রুপ সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর প্রতি তাদের মিত্রতা প্রকাশ করেছে। গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স প্রণয়ন করেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড পিস। তারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস নিয়ে গবেষণা করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।