পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগাতেই আগামী পৌর নির্বাচনের বারোটা বাজিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। আর এসব ঘটছে নির্বাচন কমিশনের জ্ঞাতসারে, দৃষ্টিসীমায়। সরকারের লাগামহীন লোভ চরিতার্থ করতে নির্বাচন কমিশন আগের মতোই অনুগামীর ভূমিকা পালন করছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন ও নির্বংশ করার মহাপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। সেই কাজই এখন চলছে। দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এরকম পরিস্থিতি টিকিয়ে রেখে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কখনও সম্ভব নয়। মন্ত্রী-এমপিরাও প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, পৌর নির্বাচন নিয়ে সরকারের অশুভ কর্মের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নিজেদের আত্মার নীতিবোধকে আর কলঙ্কিত করবেন না। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, আবদুল মান্নান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর এজেডএম জাহিদ হোসেন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।