নিবন্ধনে শৃঙ্খলা আনতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে হাতের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক পদ্ধতি) নিয়ে চূড়ান্তভাবে সিম পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়া। মোবাইল ফোন অপারেটররা এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ওই পদ্ধতি প্রয়োগ করে। আজ সকাল ১১টায় বিটিআরসি প্রধান সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এদিকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ২০টির বেশি সিম নেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে এক সভা শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানান। ‘টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি বাস্তবায়নের পর্যালোচনা সভা’ শীর্ষক ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত ছিলেন। তারানা হালিম বলেন, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে বা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারও কাছে ২০টির বেশি সিম থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করার পর জানা যাবে কার কাছে কতটি সিম রয়েছে। একটি নির্ধারিত সময়ের পর ২০টির বেশি সিম গ্রাহকরা রাখতে পারবেন না। তিনি জানান, করপোরেট গ্রাহকদের বিষয়ে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান করপোরেট সেবা নিচ্ছে তাদের কোন গ্রাহক এ সিম ব্যবহার করছেন তার এনআইডি নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো গ্রাহক চাকরি ছেড়ে দিলে বা চলে গেলে যেন কোনো সমস্যা না হয়। মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহক বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন নিয়ে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার অবসানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কয়টি সিম রাখতে পারবেন, সেই সংখ্যা বেঁধে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারানা হালিম আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আমরা মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর রেজিস্ট্রেশন শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে যারা নতুন সিম কিনবেন তাদের সিমের সঙ্গে সেটেরও নিবন্ধন করে দেয়া হবে। তবে এটি বৃহৎ পরিসরে করা হবে। প্রত্যেক গ্রাহককেই তার মোবাইল ফোন সেটটির আইএমইআই নিবন্ধন করে নিতে হবে। কী প্রক্রিয়ায় সেটা করা হবে, তা পরে জানানো হবে। মোট কথা হলো নিবন্ধন ছাড়া কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও সিটিসেল। বিটিআরসির অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে দেশের জনসংখ্যাই ১৬ কোটি।