পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির বলেছেন, রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি, কাউনিয়া মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যা এবং বাহাই সম্প্রদায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের একান্ত সচিব রুহুল আমিনের হত্যা চেষ্টার দায় স্বীকার করেছে জেএমবি গ্রেপ্তারকৃত আরেক অন্যতম সদস্য ইসাহাক। ইসাহাক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রংপুরে ৩ ঘটনা এবং দিনাজপুরে যাজক পিয়ারোকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, কান্তজিউ’র মন্দিরে, ইসকন মন্দিরে বোমা হামলাসহ এ দু’জেলায় যাজকদের হত্যার হুমকির চিঠি দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ১৭ জেএমবি সদস্য জড়িত রয়েছে বলে অনেক তথ্য মিলেছে। যা পরে জানানো হবে। ডিআইজি বলেন গ্রেপ্তারকৃত এসব জেএমবি’র কাছ থেকে অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল, পয়েন্ট টুটু বোর, পিস্তল, ৪৭ রাউন্ড গুলি ও ৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এদেরকে কারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনে তদন্ত চলছে। জাপানি নাগরিক হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার রংপুর ডিআইজি সম্মেলন কক্ষে ডিআইজি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি সদস্য ইসাহাক মাসুদ রানার সহযোগী। তারা হত্যাকাণ্ডসহ যত অপারেশন চালিয়েছে সব অপারেশনে মাসুদ রানার নেতৃত্বে করেছে। তারা অস্ত্র মাসুদ রানার কাছ থেকে নিয়ে অপারেশন শেষে আবার তার কাছে অস্ত্র জমা দিতো। মাসুদ রানাই ছিল অস্ত্রের জিম্মাদার। ইসাহাক এক সময় ইরাকে ছিল। সেখানে থাকা অবস্থায় প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ইসাহাকের বড় ভাই ইনসান আরও বড় জেএমবি নেতা। জানা যায়, মাসুদ রানা ওই ইনসানের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সে প্রথম ২০০৬ সালে মাসুদ রানাকে জেএমবিতে নিয়ে আসে এবং প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর ইনসান লিবিয়ায় চলে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুকে নিয়ে রয়েছে অনেক বির্তক। তার পরিবার দাবি করছে হার্ট অ্যাটাকে ইনসানের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ কারণ ইনসানের লাশ দেশে আনা হয়নি।