বিবিসি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে ১৬ বছরের কমবয়সীদের জন্য ফেইসবুক, স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ওই আইন পাস হলে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া তারা এ ধরনের সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারবে না।
আগের সপ্তাহে প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষা আইন সংশোধনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদানের ফলে অনেক কিশোর-কিশোরী ব্ল্যাকমেইলিং ও হয়রানিসহ মতো নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যা তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত করছে। আর এ সমস্যা মোকাবেলা করাই আইনটির মূল উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে এ আইনের পক্ষে নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এর বিরোধিতা করে তারা বলেছে, “এতে শিশুরা বিভিন্ন শিক্ষামূলক তথ্য ও সামাজিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।”
এ আইনের সমালোচকরা বলছেন, এ উদ্যোগ ইউরোপিয়ানদের বেশি কাজে দেবে না। কারণ, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় আইনে যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৩ থাকলেও অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলছে। তাছাড়া অনেক অভিভাবকই অ্যাকাউন্ট খুলতে নিষেধ করবে, যা শিশুদের মিথ্যা বলতে উৎসাহিত করবে।
বয়স যাচাইয়ের টুল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট এলিভেটের ড. র্যাচেল ওকনেল জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ১৬ বছরের কমবয়সীদের ব্যক্তিগত ডেটা না নিয়ে, এবং ব্যবহারকারীর ও তার পিতামাতার অনুমতি ছাড়া থার্ড পার্টির কাছে তথ্য না দিয়ে এ সেবা চালু রাখতে পারত।
“এজন্য কীভাবে ব্যবহারকারীদের ডেটা কাজে লাগানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিতামাতা আর কিশোর বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে স্বচ্ছ হতে হবে।”–যোগ করেন তিনি।