ঘটনাটি ২০১৩ সালের। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন জার্মান নারী এডিথ শুমাকার। সঙ্গি কেভিন স্টকটনের সঙ্গে তিন দিন ছিলেন সেখানে। সময় যাপনকালীন একাধিকবার ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র হয়েছিলেন এডিথ। নগ্ন হয়ে ফ্ল্যাটের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছেন। তখন বুঝতে পারেন নি যে ঘরের মধ্যে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। পরে তিনি ও কেভিন লুকায়িত ক্যামেরাটি লক্ষ্য করেন। এয়ারবিএনবি নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছিলেন এডিথ। এখন তিনি ওই প্রতিষ্ঠান ও অ্যাপার্টমেন্টের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন। অভিযোগ করেছেন তার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। খবর সান ও মিররের। এডিথ দাবি করছেন, তিনি গোপন ক্যামেরার বিষয়টি এয়ারবিএনবিকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দেয়ার সাইটটি ওই অ্যাপার্টমেন্টের মালিকদের ফ্ল্যাটটি অব্যাগতভাবে ভাড়া দেয়ার সুযোগ দিয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছেন, ‘তিনি যখন বিবস্ত্র ছিলেন তখন তার ওপর গুপ্তচরগিরি চালানোর জন্য গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে বা হয়ে থাকতে পারে। এতে মিসেস শুমাকারের মর্যাদা হানি হয়েছে। আর তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এছাড়া তিনি উদ্বিগ্ন যে, বিবস্ত্র অবস্থার ছবি এখনও সংরক্ষিত করে রাখা থাকতে পারে। আর সেগুলো ইন্টারনেটে বা অন্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ এয়ারবিএনবি বলছে, গোপন ক্যামেরা নিয়ে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। তাদের দাবি, অবিলম্বে তারা ওই অ্যাপার্টমেন্টকে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।