‘বাংলার কোথাও নেই মিঠুন চক্রবর্তী’, ‘অভিমানে সরে গেলেন মিঠুন চক্রবর্তী’ এমন কয়েকটি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় গেল মাসের শেষ দিকে। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এসব সংবাদ প্রকাশের একটাই কারণ ছিল। আর তা হলো, দীর্ঘ সময়জুড়ে মহাগুরুখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী নিখোঁজ ছিলেন। কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। কিন্তু শেষতক হদিস মিলেছে মিঠুনের। মিঠুনপুত্র মিমো চক্রবর্তী সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম মিররকে জানিয়েছেন, বাবা নিখোঁজ হননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় সবার কাছ থেকে আড়ালে ছিলেন। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এ বিষয়ে মিমো আরও বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই বাবা অসুস্থ। তিনি মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সে সঙ্গে বমিও হয়েছিল। যে কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘লাক’ ছবির কাজ চলাকালে তিনি মাংসপেশীতে ব্যথা পান। তখন থেকেই ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিঠুন চক্রবর্তী মাংসপেশীর এ ব্যথা অনুভব করলেও ততটা আমলে নেননি। কিন্তু কয়েক মাস আগে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। আর সে সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হয়। এরপর টানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিঠুন। এখন অবশ্য তিনি বেশ সুস্থ আছেন। ব্যথা কমেছে অনকটাই। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে মিঠুনকে। উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘মৃগয়া’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। সে ছবিতে অভিনয়ের কারণে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন কিংবদন্তি এ অভিনেতা। এরপর একে একে বলিউডে বহু ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া জাগান মিঠুন। গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার বাংলা ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করে সফলতা পান তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ছিল ‘হিরোগিরি’। অভিনয়ের পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী রাজনীতি অঙ্গনেও দারুণ জনপ্রিয়।