জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেনেগাল থেকে স্পেনের পথে সমুদ্র পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন নগামে। সমুদ্র থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যাওয়া সেই সেনাগালের নাগরিক এখন স্পেনে। তবে তার চাকরি নেই। চাকরি নেই তো কি হয়েছে! এবার বড়দিন উপলক্ষে সেখানকার ‘ক্রিসমাস লটারি’ জিতেছেন তিনি। এর মূল্যমান ৪ লাখ ইউরো। ফলে রাতারাতি পাল্টে গেছে তার জীবনের গতিপ্রকৃতি। লটারি জেতার খবরে আবেগে, আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি। অথচ এখন থেকে আট বছর আগে স্পেনে ঠাঁই পাওয়ার পর তিনি ছিলেন বেকার। মঙ্গলবার ওই লটারির ড্র হয়। এতে উঠে আসে নগামের টিকিটের নম্বর ৭৯১৪০। ১৬০০ টিকিটের মাঝে তার টিকিটটি প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়। আলমেরিয়া প্রদেশের রোকুয়েতাস ডি মার শহরের দক্ষিণাংশের সৈকত থেকে তিনি কিনেছিলেন এই টিকিট। ওই এলাকায় বসবাস করেন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে। পুরস্কার জেতার খবরে তিনি বলেন, আমি তো কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি আপনাকে বলতে পারি, এমনও একদিন গেছে যখন আমি বা আমার স্ত্রী কারো কাছে ৫ ইউরো পর্যন্ত থাকতো না। আট বছর আগে যখন তাদেরকে উদ্ধার করে রাখা হয় টেনেরিফে দ্বীপে। এটি স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের অংশ। নগামে বলেন, তারা যখন স্পেনে যাত্রা করেন সমুদ্র পথে তখন তাদের হালকা নৌযানটিতে ছিল ৬৫ জন মানুষ। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে আমাদের নৌকাটি যখন বিপদসঙ্কুল তখন স্প্যানিশ মানুষ ও এ দেশের সরকার আমাদেরকে উদ্ধার করে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। স্পেনে পৌঁছানোর পর আমরা টিকে থাকার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে কোন একটি ফার্মে কাজ জুটিয়ে নিতে চেষ্টা করি। চেষ্টা করি কোন সবজির ক্ষেতে কাজ পাওয়ার। নগামে বলেন, সম্প্রতি একটি গ্রিনহাউজ থেকে তাদেরকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। স্পেনের বড়দিনের লটারি, যা ‘এল গরডো’ বা ‘দ্য ফ্যাট ওয়ান’কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অংকের পুরস্কার।