আসন্ন ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র এক প্রার্থী। প্রচার-প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই প্রার্থী। জীবননাশের হুমকি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। “জগ” প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান লিটন এমন অভিযোগ করে বলেছেন, গোপালগঞ্জ পৌর নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই। নিজে প্রার্থী হয়েও কোথাও কোন জনসংযোগ করতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী লিয়াকত আলী লেকু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আর বলছে ভোট দিলেও মেয়র, না দিলেও মেয়র, প্রয়োজনে সমস্ত ভোট আমার লোক দিয়ে কেটে নিব।’ কথাগুলো গোপালগঞ্জ পৌরবাসীর কাছে একটি বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন উল্লেখ করেন। এসব অভিযোগ তিনি নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করেছেন। কমিশন অভিযোগ করলেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি তার। অভিযোগে ওই প্রার্থী বলেন, গত ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সহযোগী জিরু মোল্ল্যার নেতৃত্বে বেশকিছু লোক মোটরসাইকেল যোগে এসে অতর্কিতভাবে আমার প্রচার মাইক ভাঙচুর চালায়। কর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি কুড়ালের হাতল দিয়ে মারপিট করে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরের দিন ১৬ই ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় আমার স্ত্রী আয়শা খানম “জগ” প্রতীকের প্রচারণাকালে মান্দার তলা নামক স্থানে লেকুর লোকেরা আমার স্ত্রীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং কর্মীদের উপর প্রচ-ভাবে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রচার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। লিটন অভিযোগ করে বলেন, ১৭ই ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় আমি ও আমার কর্মীদের নিয়ে গেটপাড়া, কবরস্থান, বেদগ্রাম হয়ে পূর্ব মিয়াপাড়া দ্বিতল ভবন প্রাইমারি স্কুলের কাছে পৌঁছালে, লেয়াকত আলী লেকু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে বিপরীত দিক থেকে এসে এলাপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক দিয়ে হাত- পা ও মাথায় প্রচ-ভাবে আঘাত করে। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হন। তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, মুশফিকুর রহমান লিটন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।