অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর প্রকাশিত গেজেটে পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষকদের দাবি মানা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। এ সময় তারা চলতি মাসের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ হুমকি দেন। গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর মতোই সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল থাকবে। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ সচিবদের যে জায়গায় রাখা হয়েছে সেই জায়গায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করা হবে। কিন্তু প্রকাশিত বেতন কাঠামোয় এর প্রতিফলন ঘটেনি। বরং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হলে গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা আগের চেয়ে অর্ধেক কিংবা আরও নিচে নেমে আসতে পারে। মহাসচিব আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সেটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত ১৯৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের সরাসরি পরিপন্থী। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রীর কাছে সুস্পষ্ট আশ্বাস পেয়েছিলাম কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা প্রতারিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আর কিছু সম্ভব নয়। এখন কঠোর আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই। তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যে দাবি মানা না হলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ করা হবে। এ সময় তিনি সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে।