সাকিব আল হাসানকে দলে রেখে দিলো ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে এবারের আইপিএল’র নিলাম। গতকাল ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দল গুছিয়ে নেয়ার শেষ দিন। এতে সাকিব আল হাসানকে স্কোয়াডে রেখে তাদের খেলোয়াড় তালিকা জমা দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল’র ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার দলে রেখে দিয়েছে ১০১জন ক্রিকেটারকে। ৬টি দল ছেড়ে দিয়েছে ৬১ জনকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য গত আইপিএল-এ মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এতে ব্যাট হাতে ৩৬ রান আর বাঁ-হাতি স্পিনে ৪ উইকেট নেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ২০১১’র মৌসুমে সাকিবকে দলে ভেড়ায় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল বিধি অনুযায়ী একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তি করে থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। চুক্তির পুরো সময়টা সাকিবকে দলে রেখে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরবর্তী মেয়াদের জন্য সাকিবকে দলে পেতে ফ্র্যাঞ্চাজিগুলোর মধ্যে দেখা যায় তুমুল লড়াই। ২০১৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষে নতুন নিলামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতার পর সাকিবকে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে ফের দলভুক্ত করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ওই মৌসুমে শিরোপাজয়ী কলকাতার ১৩ ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিবের সংগ্রহ ৩২.৪২ গড়ে ২২৭ রান আর বোলিংয়ে ৬.৬৮ গড়ে সাকিব নেন ১১ উইকেট। ২০০৮ সালে প্রথমবার মাঠে গড়ায় ভারতের ঘরোয়া টি-২০ আসর আইপিএল। তবে শুরুর তিন আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেপুণ্যটা ছিল ভক্তদের কাছে হতাশাজনক। ৮ দলের আসরে তালিকায় দুইবার ষষ্ঠস্থান ও একবার তলানিতে নাম শোভা পাচ্ছিল কলকাতার। তবে সাকিব আল হাসানের অন্তর্ভুক্তিতে মাঠে দ্যুতি ছড়ায় কেকেআর। ২০১১ থেকে পরের পাঁচ আসরে কেকেআর শিরোপার স্বাদ নেয় দুইবার আর একবার কুড়ায় রানার্সআপের গৌরব। পাঁচ মৌসুমের আইপিএল ক্যারিয়ারে ৩২ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। কেকেআর দলে মূলত ব্যাটিংক্রমের লোয়ার মিডল অর্ডারে সুযোগ নিয়ে ২১.২৮ গড়ে সাকিবের সংগ্রহ ৩৮৩ রান। আর বল হাতে সাকিবের শিকার ৩৮ উইকেট।
সাকিবের আইপিএল পরিসংখ্যান
ব্যাটিং
ম্যাচ ই. রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক ৪/৬
৩২ ২৪ ৩৮৩ ৬০ ২১.২৭ ১৩৯.৩ ৩৭/১০
বোলিং
ম্যাচ ই. উই. সেরা গড় ইক. ক্যাচ
৩২ ৩২ ৩৮ ৩/১৭ ২১.৭৬ ৬.৯২ ৪