ইরানের রাজধানী তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাস ও মাশাদে কনসুলেটে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপসাগরীয় অনেক দেশ, আরব ও মুসলিম দেশ এর নিন্দা জানিয়েছে। রোববার ওই অগ্নিসংযোগ করা হয়। সম্প্রতি শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর সহ ৪৭ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করে সৌদি আরব। এ ঘটনায় ইরানে তীব্র বিক্ষোভ হয়। ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতারা সৌদি আরবকে অভিশাপ দেন। এক পর্যায়ে সৌদি আরবের দূতাবাস ও কনসুলেটে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে সম্পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। এ খবর দিয়ে অনলাইন সৌদি গেজেট বলেছে, ইরানে সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপসাগরীয় সহযোগিতা বিষয়ক পরিষদ জিসিসির মহাসচিব আবদুল লতিফ আল জায়ানি। তিনি বলেছেন, দূতাবাসে হামলা ঠেকানো প্রতিরোধে ইরানের ব্যর্থতা কূটনৈতিক শর্তের লঙ্ঘন। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কূটনৈতিক মিশন রক্ষার দায়িত্ব ছিল ইরানের। এ ছাড়া তিনি ৪৭ ‘সন্ত্রাসীর’ মৃত্যুদ- কার্যকর করা নিয়ে ইরানের শত্রুতামুলক বিবৃতিরও নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ইরানের এমন বক্তব্য হামলাকারীদের উস্কানিতে সহায়তা করেছে। সৌদি আরবকে সমর্থন দিতে জিসিসিভুক্ত দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এই হামলার জন্য তিনি ইরানের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। এ ছাড়া এ হামলায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে কুয়েত। বার্তা সংস্থা কুনা’কে কুয়েটের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র বলেছেন, এই হামলা ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন, যেখানে বলা আছে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা ও এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য স্বাক্ষরকারী দেশ। ওই সূত্র ইরানের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন সব আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য। একই সঙ্গে একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে। অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিন্দা জানিয়েছে বাহরাইন। সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, এমন কর্মকা- আন্তর্জাতিক সনদ ও রীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন। তারা কূটনৈতিক মিশনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দায় নিজের কাঁধে নেয়ার জন্য ইরানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে জর্ডানও। তারা বলেছে, ইরানের এই কাজ আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন। পাকিস্তানি রিলিজিয়াস স্কলারস কাউন্সিলও এর নিন্দা জানিয়েছে।