মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের জিম্বাবুয়েকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করলো আফগানিস্তান। গত অক্টোবরে জিম্বাবুয়েকে নিজেদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি হারিয়ে দেশে ফেরে আফগানরা। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে একইভাবে হোয়াটওয়াশ করলো তারা। আর আফগানিস্তানের এ সিরিজ জয়ের নায়ক উদ্বোধনী ব্যাটসমান মোহাম্মদ শাহজাদ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেন ৩৩ রান। আর রোববার খেললেন রেকর্ড গড়া ইনিংস। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৮ ছক্কা ও ১০ চারে মাত্র ৬৭ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ১৫৬, ১২৩ ও ১১৯ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে তিনে আছেন যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু প্লেসি। আর টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। এছাড়া আইসিরি’র সহযোগী দেশের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এটি। দুই সপ্তাহ আগে এই শাহজাদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩১* রান করেন। যা ছিল আফগানিস্তানের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জেতে আফগানরা। আর এবার সেই নৈপুণ্য ধরে দেখে দেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতালেন। রোববার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ২১৫ রান। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়ন্টিতে ১২তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। আর এই রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ১৮.১ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট হয়। এতে ৮১ রানের বিশাল জয় পায় আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের ৮ জন ব্যাটসম্যানরে রান দুই অংকের কোঠা পার হয়নি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা একাই যা একটু লড়াই করেন। তিনি ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। এছাড়া পিটার মুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। এই দুইজন বাদে জিম্বাবুয়ের বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলে করেন ৩৬ রান। এর আগে জিম্বাবুয়ের ওপর ব্যাটিং তা-ব চালান আফগানিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে মোহাম্মদ নবী ২২ ও অধিনায়ক আসগার স্তানিকজাই করেন ১৮ রান।