বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়ছে। বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়া সরকারকে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের তরফেও নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সতর্কতামূলক বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ ভিআইপিরাও যাতে একজনের বেশি সঙ্গী সেখানে না নিয়ে যান তার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছেন। গত ২৮শে ডিসেম্বর থেকে মন্ত্রীর সই সংবলিত ওই চিঠি (আধা সরকারি পত্র) পাঠানো শুরু হয়েছে জানিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে সরকারের নানামুখি উদ্যোগের পরও পরিস্থিতি দেখতে এক মাসের মাথায় বৃটেনের নিরাপত্তা দল ঢাকা সফরে এসেছে। দিল্লি থেকে আসা বৃটেনের ওই নিরাপত্তা দলের নেতৃত্ব নিচ্ছেন আঞ্চলিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জন লেগোভস্কি। মঙ্গলবার থেকে তিনি বাংলাদেশে রয়েছেন। এরই মধ্যে সিভিল এভিয়েশন ও শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার একদফা বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা বিশেষ করে বিমানের কার্গো হ্যান্ডেলিং এবং ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা কথা বলেছেন। আলোচনায় স্থান পেয়েছে সন্ত্রাসীদের রাখা বোমায় মিসরের শারম আল শেখ বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা। বৃটিশ গোয়েন্দারা বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেছেন একই সঙ্গে আগামীর দিনগুলোতে আরও সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন।