সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম বলা যায় বিদেশি দলগুলোর নিরাপত্তা উদ্বেগ। এই উদ্বেগের আকস্মিক সূচনা যাদের হাত ধরে হয়েছিল সেই অস্ট্রেলিয়া নাম প্রত্যাহার করে ছিয়েছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেও। এর পর পরই নতুন করে শঙ্কা জাগে অন্য কোন দেশও অস্ট্রেলিয়ার পথ অনুসরণ করে বিশ্বকাপ বর্জন করে কি না! তবে সকল সংশয় দূর করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বদলী হিসেবে আয়ারল্যান্ডসহ ১৬টি দলই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ খেলতে আসার কথা। আর ২০ জানুয়ারি থেকেই এই ১৬ টি দেশের খেলোয়াড়রাসহ কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাই আসা শুরু করবে। সোমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ভেন্যু কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে এমনটাই জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বললেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে সব দল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশে আসছে। ফলে খুব একটা সময় নেই সামনে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্টেডিয়ামগুলো আইসিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ তবে সব দল আসলেও অস্ট্রেলিয়া আসছে না। এ নিয়ে জল ঘোলাও কম হয়নি। এ প্রসঙ্গে পাপন বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আসছে না, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। গত কালকেও আইসিসি এবং সব দলের সাথে মোবাইলে সভা হয়েছে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংঙ্কাসহ সব উপস্থিত ছিল এবং সবাই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। বিশ্বকাপ খেলতে সব দল বাংলাদেশে আসবে। সবচেয়ে বড় কথা আইসিসি নিশ্চিত করে বলেছে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সুন্দরভাবে করা সম্ভব।’ এছাড়াও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা শতভাগ, তবে নিশ্চয়তা বলতে কোন কথা নেই। পৃথিবীতে কোন জায়গা এখন নিরাপদ না, কেউ বলতেও পারবে না আমার এখানে কিছু হবে না। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপটি পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য হবে। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, খেলোয়াড়রা, দলের প্রতিনিধিরা ও যারা খেলা দেখতে আসবে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে।’ কক্সবাজারের ভেন্যু পরিদর্শনের সময় নাজমুল হাসান পাপন ছাড়াও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম, পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।