সদ্য ঘোষিত অষ্টম বেতন স্কেল নিয়ে সৃষ্টি হওয়া অসন্তোষ দূর করার ফর্মুলা খুঁজতে সচিবদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সচিব সভায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। মূলত বেতন স্কেল নিয়ে সৃষ্টি হওয়া অসন্তোষ দূর করার উপায় খুঁজতে এ সভার আয়োজন করা হয়। একাধিক সচিবের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এ বৈঠকে ১৫ জন সচিব আলোচনায় অংশ নেন। তাদের আলোচনায় অষ্টম গ্রেড ও নবম গ্রেড বৈষম্য, প্রকৃচি- বিসিএস সমন্বয় পরিষদের দাবি-দাওয়া এবং শিক্ষকদের আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সচিবদের তার অধীনের দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে তাদের আবেদন বা চাহিদার বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া ঘোষিত বেতন স্কেল নিয়ে তাদের অসন্তোষ আছে কিনা এ নিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়। এরপর এসব বিষয়ে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সূচনা বক্তব্যের পর এ নিয়ে কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বেতন স্কেল সম্পর্কে নিজের মতামত শেষ করে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থাকায় আমাকে চলে যেতে হচ্ছে।
এরপর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মাহবুব আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোশাররাফ হোসাইন, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, লেজেসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিব প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। সচিবদের সভা দুপুর দুইটায় শুরু হয়ে একটানা সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে। সচিবরা তাদের আলোচনায় অষ্টম ও নবম বেতন গ্রেড নিয়ে তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন। এর জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে বিস্তারিত সুপারিশ দিতে সচিবদের প্রতি অনুরোধ করেন।