রাফিঃ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আসলে এমনই হয়! হাওয়া বদল হলেও সমান তালে লড়ে গেল দু’দলই। কখনও স্বাগতিক বাংলাদেশের পাল্লা ভারি হল, কখনও বা জিম্বাবুয়ের। আর সেই রুদ্ধশ্বাস পালাবদলের ম্যাচের শেষ হাসিটা হাসলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিতে গেল চার উইকেটের ব্যবধানে। এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। আগামী ১৭ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
জিম্বাবুয়ের ১৬৩ রানের জবাবে যখন তিন ওভার বাকি তখনও জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ২৭ রান। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সাথে অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহান। আর সেই ওভারে রায়ন ভেটোরি দিয়ে দিলেন ১৪ রান। আর পরের ওভারে চার বলের মধ্যেই ১৫ রান দিয়ে দিলেন লুক জোঙ্গে।
ফলাফল আট বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে বাংলাদেশ। জয়ে আলাদা করে মনে রাখতে হবে সাব্বির রহমান রুম্মান ও মুশফিকুর রহিমকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র পাঁচ ওভার এক বলে ৪৪ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
সাব্বির দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। এছাড়া তামিম ২৯, মুশফিক ২৬ ও সাকিব ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি উইকেট পান গ্রায়েম ক্রেমার।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শেষ ছয় ওভারে জিম্বাবুয়ে রান তুলতে পারে ৪১। টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় এটা তুচ্ছ এক ব্যাপার। আর তার মধ্যে উইকেট হারায় ছয়টি।
আর তাই, মাত্র ১২ ওভারের মধ্যে কোন উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে করে ১৬৩ রান। দুটি করে উইকেট নেন দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন।