রাফিঃ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাটারি লাইফ সমস্যা একটি পুরনো সমস্যা। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের হ্যান্ডসেট গুলো যতটাই দ্রুত এবং শক্তিশালী হচ্ছে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ততোই কমছে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাটারি লাইফ সমস্যা একটি পুরনো সমস্যা। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের হ্যান্ডসেট গুলো যতটাই দ্রুত এবং শক্তিশালী হচ্ছে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ততোই কমছে।
বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনগুলোতে অনেক অনেক ভারী সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে একদিনের বেশি সময় ব্যাটারির চার্জ থাকেনা। দুই দশকের ও বেশি সময় হয়ে গেছে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার শুরু হয়েছে তারপরেও খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হয়নি। কিছুদিন ব্যবহারের পর ফোনের ব্যাটারি পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে এখনও।
এখানে কিছু স্মার্টফোন ব্যাটারি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়া হল যেগুলো ব্যবহারকারীর জানা দরকার।
আগেকার ব্যাটারি ছিল নিকেল ক্যাডমিয়াম। আর এই ব্যাটারির ছিল ‘মেমোরি ইফেক্ট’ আর এই কারণেই ইলেকট্রনিক পণ্যগুলতে পরামর্শ দেয়া থাকত ব্যবহারের আগে চার ঘণ্টা চার্জ করার। তবে আধুনিক লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে এটি সঠিক নয়। আর তাই টেক জায়ান্ট অ্যাপল এবং অন্যরা তাদের পণ্যের জন্য এই পরামর্শ দেয়না। তাই বর্তমান স্মার্টফোন কিনে ব্যবহারের আগে চার্জ করার দরকার নেই।
উত্তরটি হল- হ্যাঁ। বেশি বেশি চার্জ ব্যাটারি খারাপ করে দেয়। আধুনিক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে নির্ধারিত কিছু সংখ্যক ‘সাইকেল’ দিয়ে ডিজাইন করা হয়। এক সাইকেল মানে ব্যাটারির পুরোপুরি নিঃশেষ হওয়ার সমান।টেক জায়ান্ট অ্যাপলের মতে, আপনি যদি একদিন ব্যাটারির ধারন ক্ষমতার ৭৫ শতাংশ ব্যবহার করেন এবং সাড়ারাত ব্যাটারি চার্জ করেন এবং পরদিন ২৫ শতাংশ ব্যবহার করলে বলা যাবে আপনি শতভাগ ডিসচার্জ করলেন। আর দ্বিতীয় দিন এক চার্জ সাইকেল যোগ হবে। তবে এই চার্জ সাইকেল একেক ডিভাইসে একেকরকম।
বলা হয়ে থাকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যাটারি চার্জ করলে ব্যাটারি আরও খারাপ হয়ে যায়। তবে আধুনিক ব্যাটারি সিস্টেমে যতটুকু পাওয়ার দরকার ততটুকুই নিয়ে থাকে। ব্যতিক্রম হল- গরম অবস্থা। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ব্যাটারি খারাপ হয়ে যেতে পারে। এই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে হলেই ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা স্থানে ফোন চার্জ করা ভালো।
আধুনিক ব্যাটারির জন্য এটি পুরোপুরি সত্য নয়। পুরো চার্জ শেষ করে ব্যাটারি চার্জ করার চেয়ে ফোনটির ৫০ শতাংশ ব্যবহারের পর এবার চার্জ দিলেই ভালো হয়।
এটি ভুল যে ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অফ রাখলে ব্যাটারি ইম্প্রুভ করে। এরচেয়ে আপনি নেটয়ার্কের বাহিরে চলে গেলে ফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে রাখুন। কেননা ওয়াই-ফাই এর চেয়ে ৪জি বা ৩জি সিগন্যাল খুঁজতে ফোনের ব্যাটারি চার্জ বেশি নষ্ট হয়।
তবে ব্যাটারি চার্জ দীর্ঘস্থায়ি করতে নিচের কাজগুলো করতে পারেন
১। ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে পারেন।
২। লোকেশন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ করতে পারেন।
২। ইমেইল, টুইটার বা ফেসবুকের পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন।