রাফিঃ পরপর দুই বলে দুই উইকেট; তৃতীয় বলে উইকেট পেলেই বহু অরাধ্য হ্যাটট্রিক। এ রকম সম্ভাবনার সামনে চার চারবার দাঁড়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু একবারও হলো না হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। হ্যাটট্রিকটা কি পাওয়া হবে না তার?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ প্রথম উইকেট পান এল্টন চিগুম্বুরাকে বোকা বানিয়ে তার লেগস্ট্যাম্প ভেঙে। পরের বলে মুস্তাফিজ উড়িয়ে দেন লুক জঙ্গুয়ের মিডল স্ট্যাম্প। এরই মাধ্যমে চতুর্থবার হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়ান তিনি।
কিন্তু হলো না এবারও। শন উইলিয়ামসকে তৃতীয় বলে বড় নিরীহ একটা ডেলিভারি দিলেন মুস্তাফিজ। সেটাতে উইকেট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই জাগলো না।
এর আগে আরো তিনবার হ্যাটট্রিক মুস্তাফিজের হাত ছোঁয়া দূরত্বে এসে আলেয়ার মতো মিলিয়ে গেছে। প্রথমবার তার অভিষেক ওয়ানডেতে। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে সুরেশ রায়না ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। কিন্তু পরের বলে ভুবেনেশ্বর কুমার তা হতে দেননি।
দ্বিতীয় ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও অক্ষর প্যাটেলকে পরপর দুই বলে শিকার করে আবার হ্যাটট্রিক ছোঁয়ার খুব কাছে চলে আসেন তিনি। কিন্তু হয়নি। এবার অশ্বিন এসে হতাশ করেন তাকে।
পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে এক ওভার তিন উইকেট নেন তিনি। ওই ওভারের পরপর দুই বলে শিকার করেন হাশিম আমলা ও জেপি ডুমিনিকে। পরের বলে কুইনটন ডি কক হতাশ করেন মুস্তাফিজকে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও সেই কষ্টটা পেলেন মুস্তাফিজ।
অনেক বোলারের পুরো ক্যারিয়ারেই এমন সুযোগ হয়তো দুই একবার এসেছে। মুস্তাফিজের চারবার এলো মাত্র নয় মাসে! কিন্তু একবারও সত্যি সত্যি ধরা গেলো না হ্যাটট্রিক নামের রহস্যপাখিকে। মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে এটাই বোধহয় একমাত্র আক্ষেপ!