ঢাকায় ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনের যৌথ দূতাবাস (নরডিক দূতাবাস) উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল সন্ধ্যায় এ তিন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে দূতাবাস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা সফররত ড্যানিশ কর্মসংস্থানমন্ত্রী জর্ন নিরগার্ড লারসেন, নরওয়ের বাণিজ্য, শিল্প ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী দাইলেক আয়হান, গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি)-এর মুখপাত্র ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইভা আকারমেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই তিনটি দেশের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে। বাংলাদেশে দেশগুলোর কার্যক্রমও প্রায় একই ধরনের। সমন্বিতভাবে এসব কাজ পরিচালনায় এ যৌথ দূতাবাস বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর আগে ঢাকায় যৌথভাবে জার্মানি ও ফ্রান্সের দূতাবাস চালু হয়। এদিকে দূতাবাস উদ্বোধনের আগে বিকালে নরওয়ে দূতাবাস প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন এ তিন মিশন ঢাকায় তাদের দূতাবাস কমপ্লেক্স আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছে।
গত জুলাই মাস থেকে ওই তিনটি নরডিক কান্ট্রি একত্রে কাজ করছে জানিয়ে সেখানে বলা হয়, স্বাধীনতার সময় থেকে ওই ৩ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক। বাংলাদেশ ও নরডিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, দাতা সহায়তা থেকে বিবর্তিত হয়ে আজ প্রযুক্তি, মানবাধিকার এবং বেসরকারি খাতে উন্নয়নের অংশীদারিত্বে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ যখন একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক সংলাপ, বাণিজ্য বিনিময় ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার মাধ্যমে নরডিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। নরডিক দূতাবাসগুলোর এই দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু এই ক্রমাগত বিবর্তিত সম্পর্কের একটি প্রতিফলন, যা এই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। এ উদ্যোগের ফলে নরডিক দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘকাল স্থায়ী অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারণের জন্য শক্তিশালী ও যুগ্ম প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। এখানে নরডিক দেশগুলোর দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ঐতিহ্য আছে, একই রকম আছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সমাজকল্যাণ ব্যবস্থা, লিঙ্গসমতা নীতি এবং রপ্তানিমুখী ও বাণিজ্যমুখী অর্থনীতি। একীভূত দূতাবাস এই তিন দেশের একত্রে কাজ করার একটি পদক্ষেপ মাত্র। একটি সংঘবদ্ধ অভিব্যক্তি ও সহযোগিতা প্রদান করা এসব লালিত ও সর্বজনীন মূল্যবোধ বাংলাদেশে উন্নীত করার জন্য, যেখানে বাংলাদেশ এই তিন দেশের দীর্ঘকাল স্থায়ী অংশীদার। গুলশান-২-এর বেস এজওয়াটারে এ তিনটি দেশ একই অফিস আঙ্গিনা ও সম্পদ ভাগে কাজ করবে। এটি হবে ‘সবুজায়ন’-এর উদাহরণ, পরিবেশগত পদাঙ্ক হ্রাস এবং বিল্ডিংয়ের গঠন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু।