চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম দেখভালের জন্য চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরর গঠন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব দিতে গত ১৩ই জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষা) নাসির আরিফ মাহমুদ। এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি সভা হয়েছে। রেজুলেশনে এখনও সই হয়নি। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তিনি বলেন, কীভাবে অধিদপ্তর গঠন করা হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা মতামত দিয়েছেন। প্রস্তাব প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হবে। তারাই সবকিছু বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে। সবকিছু চূড়ান্ত করতে আরও সময় লেগে যাবে।
১৩ই জানুয়ারির ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন একজন কর্মকর্তা জানান, ১৯৫৮ সালে স্বাস্থ্য পরিদপ্তর গঠিত হয়। ১৯৮০ সালে এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। সেই সময়কার আইনকানুন দিয়েই এটি চলছে। কিন্তু এখন কাজের পরিধি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এজন্য ভর্তিসহ চিকিৎসা শিক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। থেকে যাচ্ছে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি। এজন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
২০১৫ সালে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ফলে ভর্তিকার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বতন্ত্র একটি সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নিলো স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভর্তির দুর্বলতাসহ চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দূর ও তদারকি বাড়াতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে ২৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৩ হাজার ১৬২টি আসন এবং ৬৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩২৫টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজগুলোর ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে বিডিএস কোর্সে মোট ৫৩২টি ও ২৪টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ২৮০টি আসন রয়েছে।