মুস্তাফিজুর রহমান। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন তিনি। তারপর থেকে বাঁহাতি এ কাটার মাস্টারের স্বপ্নের মতোই কাটছে দিনগুলো। সেই ধারাবাহিকতা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেও ধরে রাখেন এ বাঁ-হাতি পেসার।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। আর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পুরো চার বোলিং করতে পারেননি মুস্তাফিজ। নিজের এক বল বাকি রেখেই কাঁদের পুরনো ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে ওই দিনের ম্যাচে ৩.৫ ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে মুস্তাফিজের শিকার ছিল দুটি উইকেট।
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে (২-০) এগিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাই শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোয়াডে ব্যাপক পরিবর্তন আনে স্বাগতিক টিম ম্যানেজমেন্ট। কাজেই মুস্তাফিজুর রহমান-আল-আমিন হোসেনকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিকরা। তাই মুস্তাফিজহীন বোলিংয়ে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। বুধবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অতিথি দল বাংলাদেশের বিপক্ষে এদিন টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮৭ রান করেছে। স্বাগতিক একাদশে মুস্তাফিজ না থাকায় এ বিষয়টি বেশ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ ও আল-আমিনের পরিবর্তে বুধবারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষিক্ত তিন পেসার আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ শহীদ ও মুস্তাক আলীরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেননি। মুস্তাফিজ গত এক বছর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে ম্যাজিক্যাল বোলিং করেছেন। সে রকম চোখ ধাঁধানো বোলিং করতে পারেননি রনি-শহীদরা।