বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর ইস্টার্ন আর্মির প্রধান, বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জেএফআর জ্যাকবের মৃত্যুতে শোক ও স্মরণ করলো সংসদ। গতকাল নতুন বছরের শুরুতে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করা হয়। দিল্লির একটি হাসপাতালে ৯২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনাসদস্যের আত্মসমর্পণের ঘটনা নিয়ে ‘সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা’ নামের বইটি লিখে জেএফআর জ্যাকব বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাবে বলেন, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইতিমধ্যে আমরা কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য, একজন প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হারিয়েছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর ইস্টার্ন আর্মির প্রধান, বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু এবং সাবেক পাঞ্জাব গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জেএফআর জ্যাকব। এছাড়াও শোক প্রস্তাবে দেশের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য স্মরণ করা হয় ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট কলামিস্ট এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রাক্তন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার সহধর্মিণী আসমা কিবরিয়াকে। সঙ্গে আরও স্মরণ করা হয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রাক্তন সচিব আবদুল আউয়াল, ভাষা সংগ্রামী ড. সৈয়দ ইউসুফ হাসান, ভাষা সৈনিক ও গীতিকার তোফাজ্জল হোসেন, ভাষা সৈনিক কল্যাণ চৌধুরী, একাত্তরের শব্দ সৈনিক রাশিদুল হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লিয়াকত আলী, বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত আনোয়ার এবং কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামকে। জাতীয় সংসদের পক্ষে শোক প্রস্তাবে আরও স্মরণ করা হয় ফ্রান্সে আইএসের হামলায় নিহতদের। পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে। শোক প্রস্তাবে সকল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনাও জ্ঞাপন করা হয়।