বাজারে শেয়ারের দাম ওঠা-নামায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কোনো ভূমিকা নেই। বিনিয়োগকারীরাই সব সময় শেয়ারের দর নির্ধারণ করবেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনেরই বিচ্যুতি হলে সেটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দেখবে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কমিশনার আরিফ খান। গতকাল বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নব নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার একপর্যায়ে এসব কথা উঠে আসে। বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ আর প্রোফেশনালদের কথা এক হলে চলবে না। সাধারণ মানুষ যে কোনো কথা বলতে পারে। তবে প্রফেশনালদের কথা বলতে হবে তথ্য উপাত্তসহ। খায়রুল হোসেন বলেন, একটি কোম্পানি তালিকাভুক্তির লভ্যাংশ দেয়ার বিষয় দেখা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাজ নয়। তার মতে, কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘন করে কোনো কাজ করছে কিনা সেটি দেখবে বিএসইসি। বিএমবিএ’র নতুন কমিটিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য আপনারা কিছু কর্মসূচি হাতে নিন। এতে বিএসইসির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। বিএসইসির কমিশনার আরিফ খান বলেন, কোনো দেশের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাই শেয়ারের দর উঠা-নামার বিষয়ে কাজ করে না। তারা আইন প্রণয়ণ করে এবং কেউ তা লঙ্ঘন করলে শাস্তির ব্যবস্থা করে। বৈঠক শেষে মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর বিএসইসি অনেক সংস্কার করেছে। এর সুফল পেতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি আমাদের নতুন কমিটি বিএসইসির সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করবে। নতুন কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগির আমাদের নির্বাহী পরিশোধ বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠকে আমরা আগামী দুই বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু পরিকল্পনা নেবো; যা পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করবে। বিএসইসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিশনার মো. আমজাদ হোসাইন, আরফি খান ও আব্দুস সালাম সিকদার। এ ছাড়া বিএমবিএ’র সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার, আবু তাহের মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল নাসরিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার কায়েস হাসান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব হোসেন মজুমদার, ড. মোশাররফ হোসেন, তাহিদ আহমেদ চৌধুরী, রিয়াদ মতিন, মোফাখখারুল ইসলাম ও মো. গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।